উত্তর প্রদেশের প্রথম দফার নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তবে বর্তমানে বিজেপির নজর শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, সারা দেশজুড়ে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী বড়োসড়ো দাবি করলেন। তার দাবি বিজেপি শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশেই নয়, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
মানুষ আবার বিজেপিকেই বেছে নেবেন। সম্প্রতি বিশিষ্ট এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী আগামী দিনে পাঁচটি রাজ্যেই বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বর্তমানে দেশের প্রত্যেক রাজ্যে বিজেপির ঢেউ চলছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি বিজেপি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আবহাওয়া তৈরি করছে বিজেপি। সকলেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলে। মানুষ তাই বিজেপিকে আবারও সেবা করার সুযোগ দেবেন।
আরো পড়ুন: বিগত ৫ বছরে দেশে কত সংখ্যক “এনকাউন্টার” হয়েছে? রিপোর্ট প্র’কা’শ কেন্দ্রের
প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ফের দাবি করা হয় সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস নীতি মেনে চলে বিজেপি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বিজেপি।
আরো পড়ুন: দ্বি’গুণ হ’তে পা’রে পি’এম কি’ষা’ন যো’জ’না’র টা’কা! এ’খ’ন’ই সে’রে ফে’লু’ন এই কা’জ
প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন বিজেপি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক মানুষের সেবার জন্য কাজ করে যাবে। পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে বিজেপির তুলনা করে তিনি বলেন আগে মানুষ কেবল ঘোষণাই শুনতেন। এখন তারা স্বচক্ষে কাজ দেখতে পাচ্ছেন।
BJP is always involved in serving people. When in power, we work with mantra of 'sabka saath, sabka vikas'. I can see a wave for BJP in all states. We'll win with an overwhelming majority & people in 5 states will give us an opportunity to serve them: PM Modi to ANI pic.twitter.com/IMUSnPMLkT
— ANI (@ANI) February 9, 2022
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন আগে সরকার ছিল ফাইলের, এখনকার সরকার হয়েছে কাজের। উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মনিপুর রাজ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও পাঞ্জাবে অবশ্য বিজেপি সেভাবে সক্রিয় নয়।
বর্তমানে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশে নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। এদিকে গোয়া এবং মণিপুরে বিরোধী শিবিরে খানিক বিভাজন রয়েছে। লড়াই যতই কঠিন হোক না কেন প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস বিজেপিই শেষ হাসি হাসবে।