তোমারেই যেনো ভালোবাসি আসিয়াছি শতরূপে শতবার! বারবার সেই কথাই প্রমাণ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই যেন চিরন্তনের প্রেমিক-প্রেমিকা। লায়লা মজনু আসুক কিম্বা সিঁড়ি ফারহাদ সকলেই বোকা বনে যাবে শোভন বৈশাখীর কাছে।
সবেমাত্র গিয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর প্রেমের দিবসে এই প্রেমিক প্রেমিকা আনন্দ ফুর্তি করবেন না তা কি কখনো হয়। আর এই দিনে শোভনের কাছে এক বিরাট অঙ্গীকার করে বসলেন বৈশাখী। তোমার কোলেই মাথা রেখে মরতে চাই। এক অভিনব প্রমিসের সাক্ষী হয়ে থাকল কলকাতা।
তাদের জীবনের অর্ধেক সময় পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাহলে কি হবে? তাদের মধ্যে প্রেম এখনো উঠলে উঠছে। দিন কয়েক আগে আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এর প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় যখন আমার স্বামী আমার স্বামী বলে চিৎকার করছিলেন ঠিক তখন বিস্ফোরক হয়েছিলেন বৈশাখী।
আরো খবর: প্র’য়া’ত হলেন প্রাক্তণ তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী, বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর
স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন আমি এখন শোভানির ঘরণী। দুজনে সই সাবুদ করে পোশাকি বিয়ে না করলেও তারা একে অপরের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতোই থাকেন। কলকাতায় বিলাসবহুল ফ্লাটেই তাদের আস্তানা। তবে শুধুমাত্র শোভন বৈশাখী নয় ওই ফ্ল্যাটে থাকেন বৈশাখীর কন্যা মহুল।
মহুলকে নিজের মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রেম দিবসের দিনেও বাবা মায়ের মাঝে দেখা গেল মেয়েটিকে। এই দিনে শোভন এবং বৈশাখী কেক কাটলেন একে অপরকে কেক খাইয়ে দিলেন। কেক কাটার পর বৈশাখী জানান প্রচুর উপহার পেয়েছেন শোভনের কাছ থেকে টেডি বিয়ার চকলেট।
ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার রঙে সাজবেন না, তাকে কখনো হয় এদিন লালে মাখামাখি হয়ে গিয়েছিল শোভন বৈশাখীর প্রেমের উদযাপন। সেই সঙ্গে সবার শেষে মিষ্টি হেসে বৈশাখী শোভনকে বললেন তোমার কোলে এই মাথা রেখে মরতে চাই।