Home রাজ্য আমব্রেলা গার্লের ন’ম্ব’র বাড়লো উচ্চ মাধ্যমিকে, এখন অনার্সের স্টুডেন্ট সুদীপ্তা

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমব্রেলা গার্লের ন’ম্ব’র বাড়লো উচ্চ মাধ্যমিকে, এখন অনার্সের স্টুডেন্ট সুদীপ্তা

নদিয়ার বীরনগর শিবকালী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সেই ‘আমব্রেলা গার্ল’কে মনে আছে নিশ্চয়ই! নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তার কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও একেবারে তার জীবন বদলে দিয়েছিল। সেই মেয়েই সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হলেন। সদ্য প্রকাশিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ, স্ক্রুটিনির ফলাফলের ভিত্তিতেই সুদীপ্তা বিশ্বাস পাশ করেছেন ইংরেজিতে।

অষ্টাদশী এই ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণ হয়ে স্কুলের সামনে রাস্তায় ধর্নায় বসেছিলেন। তার সঙ্গে আরও কয়েক জন সহপাঠীও ছিলেন। আর সেই সময় তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সাত জনকে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁরা লেটার মার্কস পেয়েছেন। তাদের ‘অনৈতিক ভাবে ফেল’ করানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুদীপ্তা। সেই সময় বারংবার তাঁরা ইংরেজিতে পাশ করানোর দাবি জানাচ্ছিলেন।

আর তখনই আন্দোলনরত সুদীপ্তাকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন ‘আমব্রেলা’ বানান কি। আর তিনি ভুল বানান বলেন। তখন তাঁর ভুল উত্তর মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। নেটমাধ্যম থেকে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামেও উঠে এসেছিলেন সুদীপ্তা। আর তাঁর দিকে ছুটে আসতে থাকে উপহাস, কটুক্তি। এর কারণে সুদীপ্তার মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেয়।

আরো পড়ুন: বি’ত’র্কি’ত ম’ন্ত’ব্য করার জে’রে সুদীপার রান্নাঘর ব’য়’ক’টে’র ডা’ক নেটিজেনদের

তবে মেয়েটি দাবি থেকে একচুল সরে আসেনি। উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে নম্বর বেড়ে সুদীপ্তার ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়ায় ৪৪। সেই সঙ্গে নেটমাধ্যমে ‘আমব্রেলা গার্ল’ কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছে তাও ভাইরাল হয়, বাংলায় – ৪৯, ইতিহাসে – ৫৩, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে – ৫৭ এবং সংস্কৃতে – ৬৫। রানাঘাট কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে ভর্তিও হয়েছেন তিনি।

সুদীপ্তার বাবার ইচ্ছা তাঁর মেয়ে বড় হয়ে শিক্ষিকা হবেন। এ প্রসঙ্গে সুদীপ্তার বাবা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, “যাঁদের হেনস্থায় আমার মেয়ে সে দিন আত্মহত্যা করবে বলে ভেবেছিল, ফল প্রকাশের পর তাঁদের বোধোদয় হবে বলে আশা করা যায়। ওকে নিয়ে যাঁরা চটুল রসিকতা করেছিলেন, তাঁদের গালে আমার মেয়ে সপাটে থাপ্পড় মারতে পেরেছে। আর এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।”