দিল্লির মতো আমাদের রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গও বায়ু দূষণের নিরিখে পিছিয়ে নেই। সারা দেশে প্রতি বছর প্রায় দু’কোটি মানুষ বায়ুদূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে একটা বড় অংশের মানুষ এ রাজ্যেরও। বাংলায় বাড়তে থাকা দূষণ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। রাজ্য পরিবেশ দফতরও জানিয়েছে, কলকাতা সহ এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। দূষণের নিরিখে কলকাতা দ্বিতীয় স্থানে, দিল্লির পরেই। চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বোস ইনস্টিটিউটের গবেষণা।
একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ রাজ্যে বাতাসে ভাসমান দূষিত কণা বা অ্যারোসলের মাত্রা ৮ শতাংশ বেড়ে যাবে যা রাজ্যবাসীর কাছে মোটেই সুখকর হবে না। কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডক্টর অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও গবেষক মনামী দত্ত বায়ু দূষণ নিয়ে তাঁদের গবেষণাপত্র ‘A deep insight into state-level Aerosol pollution in India’ প্রকাশ করেছেন।
জলবায়ু বদল, মানুষের তৈরি দূষণে বাতাসে অ্যারোসলের মাত্রা কী হারে বেড়ে চলেছে এবং তার প্রভাব কতটা হবে, সেই নিয়ে বিস্তারিত লেখা হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্রে। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ২০২৩ সালে এ রাজ্যে অ্যারোসল দূষণ ৮% বৃদ্ধি পাবে। দেশে অ্যারোসল দূষণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান হবে বিহারের পরেই, দ্বিতীয় স্থানে।
গবেষকরা বলছেন, শুধু ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) ও অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণাই (পিএম ২.৫) নয়, যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় বাতাসে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রাও বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। বায়ুমণ্ডলে ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (পিএম)-গুলি খুব সহজে মিশে যেতে পারে।
কিন্তু যদি পিএম কণাগুলির ব্যাস বেশি হয় তাহলে বায়ুমণ্ডলে মিশে যেতে সময় লাগে বেশি। বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাড়ি, ট্রাক, অগ্নিকাণ্ড, ফসল পোড়ানো ও কারখানার চিমনি থেকে এই দূষণ-কণাগুলি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাতাসের ধূলিকণাকে আশ্রয় করে বিষ-বাস্প তৈরি করে।