বাংলার চিট ফান্ড কেলেঙ্কারী মনে আছে তো? সত্যি সেটা ভোলার মতো নয়। মানুষের কষ্টার্জিত টাকা কিভাবে সেই সব সংস্থা নিয়ে পালিয়েছে। তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই।
সাধারণ মানুষ লাভের আশায় তাঁদের ওপরে ভরসা করেছে ঠিকই, কিন্তু অসাধু লোক নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়েছে।
যার ফলে সর্বনাশ হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। তবে এবারও কি সেই চিট ফান্ড ফিরে এসেছে বাংলায়? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে নাম উঠে এসেছে লিজা মুখার্জির। তাকে পুলিশ নাসিক থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিজা মুখার্জির বাড়ি কলকাতার পাক সার্কাসে।
পুলিশের নজরে এই লিজা অনেক দিন থেকেই ছিল। সঠিক সুযোগের অভাবে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি। কিন্তু এবার পুলিশ নাসিক থেকে গ্রেফতার করেছে।
লিজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বেনিয়াপুকুর সহ এন্টালি মৌলালি সব জায়গার মানুষকে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভ দেখিয়ে ৩০ হাজার মানুষকে বোকা বানিয়েছে।
তাঁদের সাথে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ। জানা যায়, সেই লিজা নাকি একেবারে ছক কষে এগিয়েছিল। সেই ভুয়ো সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল অর্ধশিক্ষিত, সমাজের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের, পিছিয়ে পড়া মানুষদের বোকা বানানো। তাদেরকে বুঝিয়ে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভ দেখানো হত।
আরো পড়ুন: পোস্ট অফিসের ধা’মা’কা সেভিংস প্ল্যান, ৯৫ টাকা বিনিয়োগে মে’য়া’দ শেষে ১৪ লক্ষ টা’কা
তাঁর পরেই তারা সেই লোভে টাকা তাঁর কাছে জমা রাখত। ৩ বছরের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার এই লোভ কেউ সামলাতে পারে নি। এন জিও, খাদ্য সামগ্রী সমস্ত ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে টাকা দ্বিগুণ করার লোভনীয় গল্প ফাদা হত, আর সেই গল্পেই একেবারে ভুলে যেত সাধারণ মানুষ।
লিজার শুধু এই লোক ঠকানো ব্যবসাই করত না, তাঁর সাথে সেই সব এলাকায় ছিল প্রাইভেট স্কুল, বিউটি পার্লার, প্লে স্কুল, ফ্যাশন এক্সারসাইজের ব্যবসা, এমনকি রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত ছিল।
তাঁর নামেই সব ব্যবসা চলত। সবার টাকা ম্যাচুওর হওয়ার তারিখ ছিল ১৫ এপ্রিল। আর সেই দিনেই স্বামীকে নিয়ে গা ঢাকা দেয় লিজা, তাকে পাওয়া গেলেও তাঁর স্বামীকে এখনও পাওয়া যায় নি।