সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আবাস যোজনার টা’কা কি ঘর না করে অন্য কো’থাও খরচ হচ্ছে? জে’লও হতে পারে!

ঘটনা ১: ২০১৬ সাল নাগাদ,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গরবেতা ১ ব্লকের এক বাসিন্দা ঘর তৈরির টাকা পেয়েও তা ফেলে রেখে দেন।এই ব্লকে এরকম লোকের সংখ্যা ছিল ২০ ও বেশী। প্রথমে তাকে শোকজ করা হয়, যথাযথ উত্তর না দিতে পারায় তিনি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

ঘটনা ২:এরকমই আর এক ঘটনা দেখা গেছে নদিয়ার করিমপুরের ১ নং ব্লকে।তিনি ওই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করেন।এই কাজের জন্য তার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ঘটনা ৩:পূর্ব মেদিনিপুরের নন্দকুমার ব্লকেও দেখা গেছে এরকম ঘটনা। ওই বাক্তিটি তার প্রথম কিস্তিতে পাওয়া ৬০,০০০ টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করেন।পরে তাকেও টাকা ফেরত দিতে হয়।

আরো খবর: মহিলাদের কাছে টা’না’র চে’ষ্টা! লক্ষ্মীর ভান্ডার প্র’ক’ল্পে ৬০ বছর পার হলেই হাজার টা’কা

এখানে উল্লেখ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ৩ টি জেলার কথা।এরকম ঘটনা এই রাজ্যে একাধিক জেলায় রয়েছে,এটা নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলছেন ” আবাস প্লাসের তালিকায় যাদের যাদের নাম আছে , আপনারা ঠিক সময় প্রতিটি কিস্তির টাকা ব্যবহার করবেন।”

এরকমই এক বক্তব্য রাখেন উত্তর চব্বিশ পরগনার এক কর্তা, ঠিক সময়ে যদি প্রথক কিস্তির টাকা বাড়ি তৈরিতে খরচ না করা হয় তাহলে বিডিও অফিস থেকে শোকজ করা হবে তাকে।যথার্থ উত্তর না পেলে পাশের থানায় তার নামে অভিযোগ করা হবে।এমনকী তার জেলও হতে পারে।

বিডিও এর কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ৩ জন বাসিন্দাকে।পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে সরকারি টাকা তছরুপ্ত, আর্থিক প্রতারণা জন্য তাদের উপর অভিযোগ দায়ের হয় ভারতীয় দন্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ নং ধারায়।অনেকে আবার অভিযোগ দায়েরের আগেই ফেরত দিয়ে দেন টাকা।

নদীয়া জেলা থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রায় ৩০০ টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১০০ টি।এই শোকজে পরেই পূর্ব মেদিনপুরের থেকে ফেরত পাওয়া গেছে প্রায় ১কোটি ২৩ লাখ টাকা।