পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গত ৩-৪ বছর থেকে প্রত্যেক বছর এক নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সাক্ষাৎ করছে। বেশীরভাগ বাংলাতেই এই সব ঘূর্ণিঝড়ের দাপট বেশী দেখা যাচ্ছে গত কয়েকবছর থেকেই।
এই বছরে আবার মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করার জন্য অশনি এগিয়ে আসছে। যার কারণে ফের মানুষের অতীতের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর তান্ডবের কথা গুলো মনে পরে যাচ্ছে। কোনও ভাবেই তারা যেন সেই স্মৃতি মুছে ফেলতে পারছে না মন থেকে।
তাহলে এবারও অশনি কি ঠিক একই পথেই হাঁটছে? তবে ইতিমধ্যেই পুসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে, সব থেকে চিন্তার বিষয় হল, ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে আঁচড়ে পরলেও তাঁর অভিমুখ পরিবর্তন হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: দীঘার আকাশ কা’লো মেঘে ঢেকেছে, বইছে ঠান্ডা হাওয়া, পৌঁ’ছে গে’লো NDRF
ইতিমধ্যেই মৌসম ভবনের তরফ থেকে বুলেটিন পেশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম উপকূল থেকে ৩৯০ কিমি দক্ষিণ পূর্ব ও ওড়িশার ৫১০ কিমি ও পুরী থেকে ৫৮০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি।
আজ মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের দিক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশার দিকে অভিমুখ ফেরাতে পারে ঘূর্ণিঝড়। মনে করা হচ্ছে যদি ওড়িশা উপকূলের দিকে বাক নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টায় যদি এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি ক্ষয় করে তাহলে এর দাপট কিছুটা হলেও কমতে পারে।
আরো পড়ুন: আগে সারাদিনে ১০০ টি সিগারেট খে’তে’ন! এখন কয়টা খা’ন অভিনেতা? উত্তর দিলেন অজয় দেবগণ
তবে আজ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু উপকূলীয় জেলায় পরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর কারণে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টির কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এই সমস্ত জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই চারদিকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।