মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। এই সত্য সকলের জানা। তা সত্ত্বেও অনেকে মনে করেন পরিমিত মাত্রায় মদ্যপান করলে তা কখনোই শরীরের পক্ষে হানিকারক হয়না। এমন কি কেউ কেউ বলেন আলকোহল নাকি হৃদযন্ত্র কিডনি ফুসফুস ইত্যাদি ভালো রাখে। রেড ওয়াইন মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
এছাড়া বিয়ার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। কিন্তু তাদের জন্য এবার দুঃসংবাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন খবর অন্তত তেমন তাই বলছে। তারা জানিয়েছে এমন কোন আলকোহল নেই যা পরিমিত মাত্রায় খেলে স্বাস্থ্যহানি হয় না।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার প্রকাশিত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে যত বেশি মধ্য পান করা হবে ততই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। ইউরোপের প্রায় কুড়ি কোটি কোটি মানুষ অ্যালকোহল আসক্তির জন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়েছে আর তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এমন রিপোর্ট। দেখা গিয়েছে ক্যান্সারে আক্রান্ত যারা তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন সময় স্বল্প বা পরিমিত পরিমাণে মদ্যপান করেছেন।
প্রতি সপ্তাহে দেড় লিটারের কম ওয়াইন ৩ লিটারের কম বিয়ার এবং ৪০০ মিলিমিটারের কম স্পিরিট পান করার পরেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মিলেছে। মদ্যপানের ফলে শরীরের স্বাদ ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হল পাকস্থলী ফুসফুস এবং স্তন ক্যান্সার।
মদে থাকা ইথানল ক্যান্সার সৃষ্টিকারী একটি যৌগ। যে পানীয়তে ইথানল থাকে তাতে আর যাই থাকুক না কেন তার শরীরের জন্য হানিকারক হয়ে যায়। এরপরে ওই পানীয় পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকবেই। এক ফোঁটা অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যা মানুষকে নিঃশব্দে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।