কথা ছিল ফেব্রুয়ারিতে হবে পঞ্চায়েত ভোট কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে। তার বদলে আগামী এপ্রিল মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। প্রতিটি মানুষের কাছে সমস্ত সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের কথা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ২০০০ এর বেশি আশা কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে খবর। একটি সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আশা কর্মীদের জন্য ২৬০৬ টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।। যদিও নবান্ন থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এর সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের কোন সম্পর্ক নেই।
বিভিন্ন জেলায় জেলায় আশা কর্মীর অভাব রয়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় গ্রামীণ এলাকার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি।
আরো খবর: এই স্মার্টঘড়িতে কি নেই! নতুন ফিচার নিয়ে হা’জি’র Fastrack-র Reflex Beat+
সেই গ্রামীন এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার আগে আশা কর্মী নিয়োগ করে নতুন মাস্টার স্ট্রোক দিতে চাইছে রাজ্য সরকার এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহল থেকে ওয়াকিবহাল মহলের। ভোটের আগে এই নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এতে গ্রামে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলেও দাবি। শুধু আশা কর্মী নয় রাজ্যে ৪৫৬ টি শূণ্য পদে নিয়োগের প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। যা পেশ হয়েছে রাজ্যমন্ত্রী সভায়।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৬০০ জন আশা কর্মী সঙ্গে সঙ্গে ওই ৪৫৬ জনকেও নিয়োগ করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবারও গ্রামীন এলাকায় বিরাট কর্মসংস্থান হতে চলেছে।