সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ওজন বাড়লেই কা’টা হ’বে বেতন, বিমানসেবিকাদের গোপন ক’থা ফাঁ’স করলেন এক এয়ার হোস্টেস

বিশ্বের এক অন্যতম বিখ্যাত বিমানসংস্থা হল এমিরেটস বিমান সংস্থা। কিন্তু এবার সেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল, আর সেই অভিযোগ এনেছেন এই সংস্থারই এক প্রাক্তন মহিলা কর্মী। “ইনসাইডার ডট কম” নামক একটি সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে সেই বিমান সেবিকার বক্তব্য, বিমান কর্তৃপক্ষ তাঁর ওপর নিয়মিত নজর রাখতো। এমনকি অনেকবার তাঁর স্যালারিও কেটে নেওয়া হয় শুধুমাত্র তাঁর ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য।

একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্ট এর ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের অন্যতম বড় বিমান সংস্থা এমিরেটস তাদের এক বিমান সেবিকার ওজন বৃদ্ধির কারণে নানা রকমের শাস্তি দেয়। যদিও এই বিষয়টিতে কোনো রকম মন্তব্য করেনি এমিরেটস। কারণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা করা নীতি বিরুদ্ধ। এমনকি কোনো কর্মচারীর ব্যাক্তিগত মতামতের ওপরেও তারা কোনো রকম মন্তব্য করতে রাজি নন।

এমিরেটস বিমান সংস্থায় কর্মরত এমন কয়েকজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলেছেন, এয়ার হোস্টেসের মুখের ঝলমলে হাসি, চুলের নিখুঁত স্টাইল এবং বিলাসবহুল ইউনিফর্মের পিছনে কোম্পানি নির্ধারিত অনেক কঠোর নিয়ম রয়েছে। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কার্লা বেজন এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্তৃপক্ষের মুখশ্রী এবং ইউনিফর্ম সম্পর্কে খুব কঠোর নিয়ম প্রণয়ন। ইউনিফর্ম থেকে যদি কারোর ট্যাটু দেখা যেত, তাহলে তাকে চাকরি দেওয়া হতনা। শুধু তাই নয়, যে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের ওজন বেশি ছিল তাদের ওপর অফিসাররা নজর রাখতেন এবং তাদের শাস্তিও দিতেন। কর্মচারীরা এই সকল অফিসারদের “ওয়েট পুলিশ” বলে ডাকত।

সম্প্রতি এমিরেটস সংস্থার ওপর প্রাক্তন এক বিমান সেবিকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে একজন প্রাক্তন এইচআর অফিসার বলেন যে, প্রোগ্রামে জড়িত ব্যক্তিদের ডায়েট এবং ব্যায়ামের পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল। কোনোরকম অগ্রগতি না হলে বার বার সতর্ক করা হয়েছে, ঘন ঘন ওজন পরীক্ষাও হয়েছে এবং সেই সাথে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।