সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডেলিভারির প্যাকেট খুলতেই চ’ক্ষু ছানাবড়া, বে’রি’য়ে এ’লো ৪ কোটি টা’কা’র হীরে ও সোনার বিস্কুট

বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল সোনার বাট এবং হিরে। কুরিয়ার মাধ্যমে সেটি মুম্বাই থেকে এসেছিল কলকাতায়। কিন্তু হাজার চেষ্টা করলেও শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের চোখ এড়াতে পারেনি ওই কুরিয়ার সংস্থা। বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেল ওই চোরাই মাল। সমস্ত বাজেয়াপ্ত করা হলো অবিলম্বে। অভিযোগ, জুয়েলারি আইটেম দেখিয়ে সেগুলি কলকাতায় পাচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। কুরিয়ার বক্সে যে ঠিকানা দেওয়া ছিল, তাদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করে ফেলেছেন শুল্ক দফতরের অফিসাররা। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

চোরাইপথে যে এই সমস্ত জিনিস পাচার করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, তার খবর আগে থেকে পৌঁছে গিয়েছিল শুল্ক দফতরের অফিসে। এক্ষেত্রে কুরিয়ার সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে পারেন আধিকারিকরা। জানতে পারে মুম্বাই থেকে আকাশ পথে পাচার হতে পারে সোনার বিস্কুট এবং হীরে। জুয়েলারি আইটেম দেখিয়ে এগুলি পাচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

তদন্ত করতে গিয়ে কুরিয়ার সংস্থার নাম জানতে পারি শুল্ক দফতরের অফিসাররা। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান মাত্র শুরু করে দেন অফিসাররা। বাক্স খুলতেই দেখা যায় প্লাস্টিকের প্যাকেট রয়েছে হীরে এবং সোনা। কলকাতা যে সংস্থার নামে ওই সামগ্রী গুলি এসেছে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। প্রথমেই সংস্থা দাবি করেন, হিরের জুয়েলারি জব্বর হিসেবে তারা নিয়েছেন। কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে না পারায় অবশেষে সত্যি কথা স্বীকার করে নিতে হয়।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্র থেকে জানা গেছে, মুম্বাই থেকে গোটা ঘটনাটি চালনা করা হচ্ছিল। দুবাই সহ বিভিন্ন দেশ থেকে এইভাবে মুম্বাইতে সোনা পাচার করা হয়, তারপর সেগুলি কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বড় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে এগুলি প্রতিনিয়ত পাচার করা হয়, তারপর সেটি হাত ঘুরে চলে যায় বিভিন্ন স্বর্ণ বিপণিতে। মুম্বাইয়ের নির্দিষ্ট কিছু কুরিয়ার এজেন্সিকে এই কাজে ব্যবহার করা হয়। যদিও তাদের প্রত্যেকের খবর এখন কলকাতার শুল্ক দফতরের অফিসারদের কাছে রয়েছে।