সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শয্যাশায়ী বাবাকে নিয়ে রা’স্তা’য় রা’স্তা’য় ঘুরছে ১১ বছরের মেয়ে, সা’হা’য্য করলেন সুপারস্টার দেব

বাবার অসুস্থতায় নাওয়া খাওয়া ভুলেছে মেয়ে। ঘরে অসুস্থ বাবা, সংসার খরচ সামলাতে রোজ মা বেরিয়ে পড়েন কাজের খোঁজে। ছোট্ট শিশুটিও দিনরাত বাবাকে সুস্থ করার লক্ষ্যে ছুটে চলেছে। প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। তাই অসুস্থ বাবাকে ভ্যানে চাপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় সারাদিন সাহায্যের আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে বছর ১১ এর ছোট্ট ঝিলিক। কেউ সাহায্য করছে, কেউ বা মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। ছোট্ট শিশুটির এমন মর্মান্তিক দিনযাপনের কথা শুনে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব।

উলুবেড়িয়া থানার হিরাপুর দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুশান্ত মন্ডল। বয়স ৫০ বছর। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তবে আচমকা শারীরিক অসুস্থতা তাকে শয্যাশায়ী করে দেয়। কাজেই মায়ের সঙ্গে সংসারের হাল ধরতে রাস্তায় নেমে পড়ে ঝিলিকও। অভাবের তাড়নায় মানুষ কে কি না করতে হয়। তাই এতটুকু বয়সে পড়াশোনা, খেলাধুলা বিসর্জন দিয়ে সংসার খরচের টাকা জোগাড় করতে রোজ সংগ্রাম করে চলেছে ছোট্ট ঝিলিক। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাহায্য প্রার্থনা করছে সকলের। তার এই করুণ পরিস্থিতি শাসক দলের সাংসদ দেবের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি।

ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব এর আগেও বহুবার বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছেন। লকডাউনে আটকে পড়া শ্রমিকের পাশে কিংবা বিদেশ থেকে পড়ুয়াদের ফেরানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে তাকে। আজ যখন তিনি ছোট্ট ঝিলিকের পরিস্থিতির কথা জানতে পারলেন তখনও থেমে থাকেননি, বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত।

এ প্রসঙ্গে দেব জানিয়েছেন, “পড়াশুনা করার বয়সে এই ছোট্ট মেয়েটিকে এই কাজ করতে হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। খুবই খারাপ লাগছে, তবে আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি করব। আমি তো ভগবান নই, ওর বাবাকে তো আর সুস্থ করতে পারব না, তবে যতটুকু পারব চেষ্টা করব। ওঁকে যাতে আর এভাবে ঘুরতে না হয়, ও যাতে স্কুলে যেতে পারে, আমি চেষ্টা করব। অন্যদের কাছেও অনুরোধ করব, যাতে সকলেই এগিয়ে আসেন”।