সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“কথা শুনলে তো বি’য়ে’ই দি’য়ে দিতাম”, আক্ষেপের সু’রে বললেন অর্পিতার মা

২০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই অর্পিতা মুখার্জির নাম এখন লোকমুখে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্বেও এতদিন পর্যন্ত কেউ চিনতেন না অর্পিতাকে, তবে শুক্রবার বিকেল বেলার দিকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন অর্পিতা মুখার্জি।

ইতিমধ্যেই ইডির তরফ থেকে তদন্তে উদ্ধার হওয়া ২০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে অর্পিতা মুখার্জির আবাসন থেকে। য়ার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্পিতার ইনস্টাগ্রামে উঁকি মারলেই দেখা যাবে প্রত্যেকটি ছবি এবং ভিডিওতে তার বিলাসবহুল জীবন যাত্রার প্রতিচ্ছবি।

জানা গেছে একটি আবাসনের তিনটি ফ্ল্যাট তার নামে। তার জীবন যাত্রার ছবি জানতে সাহায্য করছে সকলকে, যে তিনি কতটা বিলাসবহুল জীবন কাটাতেন। কি করে শুধুমাত্র ছোট ছোট সিরিয়ালে কাজ করে এত টাকা উপার্জন করা যায় সেই প্রশ্নের উত্তরই এখন সকলের মনে।

আরো পড়ুন: কবে বকেয়া DA দে’বে রাজ্য সরকার? কে’টে গিয়েছে ২ মাস

মেয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটালেও তার মায়ের বাড়িটা দেখা গেল একদমই অন্যরকম ভাবে। দেওয়ানপাড়ার ছবিটা অর্পিতার বিলাসবহুল জীবনের থেকে অনেক আলাদা। সেই বাড়িতে থাকেন তার মা কিন্তু সেই বাড়িতে বিলাসবহুল এর মতো কোনো চিহ্ন নেই ।

খবরের শিরোনামে মেয়েকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন। খবরে দেখছেন মেয়ের ঘরে থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকার স্তুূপ। অর্পিতার নাম খবরের শিরোনামে আসার পরপরই সংবাদমাধ্যম পৌঁছে যায় বেলঘড়িয়া দেওয়ানপাড়ায় অর্পিতার মার বাড়িতে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অর্পিতার মা।

তিনি জানান তার মেয়ে হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে সবসময় থাকতেন, তার সঙ্গে দেখা করার জন্য দুই একদিন আসতেন, কিন্তু থাকতেন না খুব একটা। তার মা একাই বাড়িতে সঙ্গীহীন অবস্থায় দিন কাটান। তিনি জানান, অর্পিতা বাইরে কাজ করে যার কারণে তাকে বাইরে থাকতে হয়।

অর্পিতা সিনেমা সিরিয়াল এবং প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে একটুও টের পাননি তার মা। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে খবরের মাধ্যমেই জানতে পারেন। মেয়ের এই ধরনের জীবনযাত্রা সম্পর্কে তার যে আক্ষেপ রয়েছে সে ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বলতে শোনা গেল।

চাকরি, বিয়ে কোনটাই এখনো পর্যন্ত অর্পিতা করেননি। কখনো মায়ের কথা শুনতেন না। তার মায়ের দাবি, মেয়ে যদি তার কথা শুনতেন তাহলে এতদিন পর্যন্ত বিয়ে হয়ে যেত। মেয়েকে যখন বিয়ের কথা বলতেন, অর্পিতা জানাতেন,”তুমি দেখো”।

এছাড়াও চাকরি নিয়ে যথেষ্ট আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অর্পিতার মা। অর্পিতার বাবা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করতেন, অর্পিতার বাবা মারা যাওয়ার পর সেই চাকরিটা করার সুযোগ ছিল অর্পিতার, কিন্তু অর্পিতা সেই চাকরি করেনি। কোন কথাই অর্পিতা শুনতেন না বলেই জানিয়েছেন অর্পিতার মা।

খবরের শিরোনামে আসা এবং ফ্ল্যাট থেকে এত টাকা উদ্ধার দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন অর্পিতার পারিপার্শ্বিক প্রতিবেশীরা। তারা চোখে বিশ্বাস করতে পারছিনা যে মেয়েকে ছোট থেকে সব সময় দেখে এসেছিলেন সে এত টাকার মালিক কি করে হলো।