গোটা দেশ জুড়ে যার গান একটা সেনসেশন-এর জায়গায় চলে গেছে, শুধু দেশ নয় বিদেশেও তাঁর এক একটা কনসার্টে দর্শক থাকে দেখার মতোই তিনি অবশ্যই আর কেউ নন আমাদের সকলের প্রিয় ও খুব কাছের অরিজিত সিং। তাঁর গায়কির প্রশংসা করেন তাবর তাবর গায়ক ও গায়িকারাও। কিন্তু এই মানুষটাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। একটা ঝঞ্ঝাটহীন মানুষের উপর বহু বার বিভিন্ন আরোপ লাগানো হয়েছে।
তিনি এতটা ডাউন আর্থ মানুষ বলেই হয়তো এত কিছু বলা হয় তাঁকে নিয়ে। কিছুদিন আগে এক ইলা অরুণ বলে একজন বিচারক তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে সম্মোধন করেন। আর এই নিয়েই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। কেনো আমাদের সকলের প্রিয় গায়ক কে এমন বলা হলো। এই নিয়ে যতদূর জানা যাচ্ছে অরিজিত সিং – এর কেরিয়ারের প্রথম দিকে জনপ্রিয় গানের রিয়ালিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’ -এর প্রতিযোগী হয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন অরিজিৎ।
কিন্তু এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এই শোতেই ঘটে যাওয়া এক অজানা কথা। এই শো তে গিয়ে অরিজিৎ খুব ভালো একজন বন্ধু পেয়েছিল। তিনি ছিলেন এই শো-এরই একজন প্রতিযোগী শমিত ত্যাগী। কিন্তু নিজের কেরিয়ারের স্বার্থে নাকি সেই ভালো বন্ধুর সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন গায়ক। একসময় অরিজিৎ-এর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন এই শোয়ের বিচারক ইলা অরুণ।
আরো খবর: ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ গ্রহের অবস্থান ব’দ’ল, আছে বি’রা’ট যো’গ, কোন রাশির জন্য ভা’লো জেনে নিন
ওই প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দুজন প্রতিযোগী যদি সব চেয়ে কম ভোট পেতেন, অনান্য প্রতিযোগিরা আবার তাঁদের জন্য ভোট দিতেন। এরপর যে সবচেয়ে কম ভোট পেত সেই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিত। একবার এমনই এক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় সংকটে পড়েছিলেন অরিজিৎ এর বন্ধু শমিত।
সেসময় সবাই শমিতকে ভোট দিলেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই ভোটিং রাউন্ডে অরিজিৎ তার বন্ধু শমিতকে ভোট না দিয়ে ভোট দিয়েছিলেন মনিকা নামের এক প্রতিযোগীকে। আর এই ঘটনার পর থেকেই সেই শোর বিচারক ইলা অরুণ মনে করেছিলেন নিজের বন্ধুকেই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন অরিজিৎ।
তাই নাকি তিনি নিজেই চেয়েছিলেন শমিত ওই রাউন্ড থেকে বাদ যান। তবে এই কথা যে যাই বলুক বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে দেখলে বোঝা যায় শমিতের সাথে অরিজিতের বন্ধুত্ত্ব আজও আছে। শমিত আজও গান বাজনা নিয়েই রয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেন তিনি। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই যোগ দেন বন্ধু অরিজিতের বিভিন্ন কনসার্টে। শমিতের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল লক্ষ্য করলে অরিজিতের সাথে তার বেশ কিছু ছবি এখনও দেখা যায়।