আমরা সকলেই ঘর দোয়ার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আগ্রহী, তবে কাজটা কিন্তু তেমন একটা সহজ নয়। ঘরের ভেতরের বিভিন্ন আবর্জনায় থাকে রোগ জীবাণু ছড়ানোর ভয়। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্য্য বহাল রাখতে নিজের ক্ষতি যে হচ্ছে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে না। আমরা ঘর পরিষ্কার করতে জানলেও, জানি না কিভাবে সেটা পরিষ্কার করতে হয়। এবার সেটাই জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন পন্থার মাধ্যমে। আমরা সবাই বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার করি, আর এই গুলোতে অনেক সময় দাগ হয় যা দেখতে একেবারেই দৃষ্টিনন্দন নয়। তবে সেটাকে পরিষ্কার করার জন্য পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে তারপরেই জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকানো দরকার।আর সেটা প্রত্যেকবার করা উচিৎ।
জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় রৌদ্রোজ্জ্বল দিন না বেছে তার উল্টোটা বেছে নেওয়া উচিৎ। কারণ একটাই রোদের দিনে গ্লাস পরিষ্কার করলে তা দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে গ্লাসেই আটকে থাকতে পারে। ইলেক্ট্রোনিক জিনিসে কখনই উইন্ডো স্প্রে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ইলেকট্রনিক জিনিস সর্বদা মাইক্রোফাইবারের কাপড় দিয়ে বা কফি ফিল্টার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ।আমরা অনেকেই জানি না বাথ্রুম কি দিয়ে কিভাবে পরিষ্কার করা উচিৎ, আসলে আমরা অজান্তেই এব্রাসিভ ক্লিনার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু এটা টাইলসের খুবই ক্ষতিকরে। তাই নন এব্রাসিভ ক্লিনার ব্যবহার করাটাই প্রযোজ্য।
কাঠের মেঝে কখনই জল দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ না, ঝাড়ু বা ভ্যাকুয়াম বা ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা উচিৎ।আমরা যে জিনিস দিয়ে ঘর বাড়ি পরিষ্কার করি , সেটাকেও যে মাঝে মাঝে পরিষ্কার রাখা উচিৎ সেটা আমরা অনেকেই ভুলে যাই। আমাদের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, এর ভেতরে থাকা নোংরা নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিৎ। টয়লেট ব্রাশ যেটা সর্বদা ব্যবহার করে শুকিয়ে রাখা উচিৎ, কারণ ভেজা অবস্থায় পরে থাকলে সেটাতে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু ঘর পরিষ্কার করলেই হবে না, এর সাথে থাকতে হবে সঠিক পন্থা, যা করে আসবাবপত্রের যেনো কোনো ক্ষতি না হয়।