শরীর এবং মনের দিক থেকে কে না ফিট থাকতে চায় বলুনতো! তবে চাইলেই তো আর ফিটনেস মেইনটেন করা যায় না, তার জন্য মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, বয়সের প্রতিটা স্তরে সুস্থ থাকার নিয়ম আলাদা আলাদা।
বয়সের প্রথম দিকে অনিয়মে শরীরে হয়তো সেরকম কোনো প্রভাব দেখা দেবে না। কিন্তু বয়স ৪০ পেরোলেই নিয়ম মেনে না চললে শুরু হতে পারে নানান সমস্যা। তাই এই পরিস্থিতিতে জেনে রাখা প্রয়োজন যে কোন কোন নিয়ম মেনে চললে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকা যায়।
চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের মতে ৪০ বছরের উর্ধ্বের ব্যক্তিদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠিগুলা কি কি।
১. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স চল্লিশের কোঠা পেরলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই সময় রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকা একেবারেই উচিত নয়। আর রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া দরকার।
২. আর সুস্থ থাকতে হলে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তাহল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ৯ গ্লাস জল খেতেই হবে। কারণ শরীর হাইড্রেট থাকলে তবেই সব ধরণের অসুখের সাথে মোকাবিলা করা যাবে।
৩. ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর প্রভাবে নানা ধরণের রোগ হয়। এমনকি ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে সারাবিশ্বে বহু মানুষ মারা যান। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ থাকতে সবার আগে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
৪. ওজন বেড়ে গেলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোলেই নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ওজন মেপে নেওয়া জরুরি।
৫. এই সময়ে সারাক্ষণ বাড়িতে বসে না থেকে মাঝেমধ্যে সময় বের করে বেড়াতে যাওয়া প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর বেড়াতে গেলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে এবং নানান দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি ঘটে।
৬. নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে দূরে সরিয়ে মনের দিক থেকে নিজেকে চনমনে রাখতে হবে এবং সেই সাথে ত্বকের দিকেও নজর দিতে হবে।
তবে অবশ্যই যা করবেন সবটাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
