ডিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে। ‘ডিম খান প্রোটিন বাড়ান’ কথাটি আমরা অনেকের মুখেই শুনে থাকি। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি-কমপ্লেক্স বর্তমান। তাই ডিম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপযোগী একটি খাবার।
তবে যারা নিরামিষ খান তারা কিন্তু ডিম খান না। ডিম আমিষ না নিরামিষ এই নিয়ে প্রশ্ন উত্তরের অন্ত নেই। তবে এবার ডিন আমিষ না নিরামিষ সেই প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিয়েছেন। চলুন এই আর্টিকেলে সেই বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
মুরগি থেকে ডিম আসে আবার ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা বের হয়। তাই অনেকের যুক্তি যে ডিম আমিষ। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন যে গরু থেকে দুধ আসে সেই দুধ যদি আমিষ না হয় তাহলে ডিমকেও আমিষ ভাবার কোনো কারণ নেই।
আরো পড়ুন: দেখার সা’হ’স হবে? দাবার চাল বুঝতে না পে’রে শিশু প্রতিযোগীর আঙ্গুল ভে’ঙে দি’লো রোবট
ডিমের স্তর ও প্রোটিন:-
বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে ডিমের তিনটি স্তর থাকে। প্রথম স্তরটি খোসা দ্বারা আবৃত। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে ডিমের সাদা অংশ এবং তৃতীয় স্তরে রয়েছে ডিমের কুসুমটি। ডিমের সাদা অংশে শুধুমাত্র প্রোটিন থাকে, এখানে প্রাণীর কোনো অংশ থাকে না। তাই টেকনিক্যালি ডিম একটি নিরামিষ।
আর কুসুমের মধ্যে থাকছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল। আমরা মনে করি যে মুরগি এবং মোরগের সংস্পর্শে এসে তবেই ডিম পাড়তে পারে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন যে মুরগি মোরগের সংস্পর্শে না এসেও ডিম পাড়তে পারে।
মুরগি মোরগের সংস্পর্শে না এসোও ডিম পাড়তে পারে:-
একটি মুরগি সাধারণত ৬ মাস বয়স থেকে ডিম পাড়তে শুরু করে। প্রতিদিন একটি করে ডিম দেয় একটি মুরগি। মুরগি মোরগের সংস্পর্শে না এসেও ডিম পাড়তে পারে। এই ডিমকে বলা হয় নিষিক্ত ডিম। এই ডিম থেকে কখনোই ছানা বের হয় না। তাই এই নিষিক্ত ডিম হলো নিরামিষ।