সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আরো এক চাঁদের খোঁ’জ পাওয়া গেলো! এটাই কি হবে পৃথিবী ধ্বং’সে’র কারণ?

আমাদের দেশের ও দেশের বাইরের সমস্ত মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অনন্ত কাল ধরে মহাকাশের সমস্ত গ্রহ , নক্ষত্র, নিয়ে রিসার্চ করে চলেছেন। প্রতি নিয়ত কত কত নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন তারা। এই যেমন জানা যাচ্ছে পৃথিবীর আরও এক চাঁদের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আমাদের গ্রহের কাছাকাছি রয়েছে আরও এক গ্রহাণু। এমনই এক আশ্চর্যজনক দাবি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।

যা চাঁদের মতোই পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। এই কারণে, একেও পৃথিবীর আরও এক চাঁদ বলা যেতে পারে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি চাঁদ একটাই। তাহলে আরো একটি টা কি? তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রহাণুর নাম ২০২৩ FW১৩। মঙ্গল ও শুক্র গ্রহের মধ্য দিয়ে যায় এই গ্রহাণুর কক্ষপথ।

এই গ্রহাণুর নাম থেকেই জানা যায় যে এটি ২০২৩ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। Skyand Telescope অনুসারে, বিজ্ঞানীরা ২৮ মার্চ প্রথম এই গ্রহাণুটি দেখেছিলেন। প্যান-স্টারস সার্ভে টেলিস্কোপের সাহায্যেই পর্যাবেক্ষণ করা হয় গ্রহাণুটিকে। হাওয়াই এবং আমেরিকার টেলিস্কোপগুলিও ২০২৩ FW১৩ -এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

আরো খবর: কবে দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেবেন? ভারতের প্রশ্নে কি বললো পাক বিদেশমন্ত্রী?

মার্কিন মহাকাশ সংস্থার মতে, এদেরকে ক্ষুদ্র গ্রহও বলা হয়। সৌরজগতের সমস্ত গ্রহ যেভাবে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, একইভাবে গ্রহাণুগুলোও সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এই গ্রহাণুটি অর্থাৎ ২০২৩ FW১৩-এর আকার প্রায় ৬৫ ফুট চওড়া হতে পারে।

এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই গ্রহাণু ঘূর্ণায়মান অবস্থায় পৃথিবীর ১৫ মিলিয়ন কিলোমিটার পর্যন্ত কাছে চলে আসে । তবে তাও এই গ্রহাণু  পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে যদি আমাদের পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খায় তাহলে একটা ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

যেমন কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের অবলুপ্তি হয়েছিল গ্রহাণুর সংঘর্ষের কারণেই। তবে এটি এই বছর আবিষ্কৃত হলেও এটি রয়েছে প্রায় ২১২১  বছর ধরে পৃথিবীর চারপাশে রয়েছে এবং আগামী ১৭০০ বছরপৃথিবীর কাছাকাছি থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।