সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পণ নিয়ে প্রতিনিয়ত জো’র জু’লু’ম! ৩ বোন ২ সন্তানকে নি’য়ে জলে ডুবে আ’ত্ম’হ’ত্যা করলেন

সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এমন অনেক ঘটনাই সামনে আসে আমাদের, এবার তেমনি একটি ঘটনা সামনে এল যেটা সত্যিই হৃদয় বিদারক । ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুর এর দুদা এলাকায়। পণ নিয়ে জোর-জুলুমের জেরে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো সেই এলাকার মানুষ।

সেই এলাকার একটি কুয়ো থেকে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ইতিমধ্যে, যা দেখে মনে করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যাই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে কয়েক জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন বোন যাদের একই পরিবারে বিয়ে হয়েছিল। সাথে ছিল তাদের দুই সন্তান , এর মধ্যে দুজন মহিলা ছিল গর্ভবতী।

বাজার যাওয়ার নাম করে তারা একেবারে হৃদয় হয়ে যায়, পরে পরিবারের লোকজন নিখোঁজ হওয়ার পর, পোস্টার পর্যন্ত দেয় এলাকায় এলাকায়। এদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর এই তিন বোনের এক খুড়তুতো ভাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, তাদের বোনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে মারধোর করা হতো।

আরো পড়ুন: যদি অনলাইন প্রতারণার শি’কা’র হ’য়ে থাকেন তবে কি করণীয়? পথ দে’খা’লো কলকাতা পুলিশ

সেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ জানায় পুলিশের কাছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে অনেকটাই সময় লাগিয়ে দেয়, তার আগেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যারা মারা গেছে তাদের বয়স ওর নাম পরবর্তীতে জানা যায়।এই ঘটনার পর তদন্ত করে জানা যায় অনেক কয়েকটি বিষয়।

তার মধ্যে একটি বিষয় হলো জয়পুর গ্রামীণ এসপি মনিশ আগারওয়াল জানায়, তিন জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস শেয়ার করেছিল, যে তোরা শশুর বাড়িতে দারুণভাবে অত্যাচারিত। যৌতুকের কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির অভিযোগ ওঠে তাদের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তাই তোরা কোনো কিছু না বুঝে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

ইতিমধ্যেই তিন মেয়ের বাবা শ্বশুর বাড়ির লোক এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। তিন বোন লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের অশিক্ষিত মদ্যপ স্বামীর তাদের মারধর করতো। শুধু মদ্যপই নয়, সাথে তারা ছিল সন্দেহভাজন। নিজেরা কোনো কাজকর্ম করত না, নিজের বাবার জমি বিক্রি করে জীবন অতিবাহিত করত।