সারদা, রোজভ্যালির মতো মামলাতে এর আগেও তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর নাম জড়িয়েছে। স্টিং অপারেশনের ফাঁস হয়েছিল তৃণমূল নেতাকর্মীদের দুর্নীতি। গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তৃণমূলের হেভি ওয়েট নেতাকর্মীদের। তবে দল তাদের বহিষ্কার করার মত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
কিন্তু এসএসসি দুর্নীতি মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ানোর পর বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এই ঘটনার ছয় দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার মন্ত্রিত্ব হারালেন।
তৃণমূল দলের তরফ থেকে তাকে অপসারণ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের মদন মিত্র গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর কারণে। গত বছর নারদ স্ট্রিং অপারেশন কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম , সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
আরো পড়ুন: অসমে দুই জে’হা’দি গো’ষ্ঠী’র খোঁ’জ মিললো, গ্রে’ফ’তা’র ১০
তবে তাদের উপরে দলের তরফ থেকে কোনো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালের সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদি ও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবী এর আগে কখনো তৃণমূলের কোনো নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এত কোটি কোটি টাকার অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠেনি।
তার উপরে আবার বান্ধবী ঘটিত কেচ্ছাও মুখ পুড়িয়েছে দলের। তাই চাপের মুখে পড়ে পার্থকে সরাতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।