সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিকল্প প’দ্ধ’তি, গরুর গো’ব’র দিয়ে এসি ঘর বানালেন গবেষক, তাও আবার সিমেন্টের থেকে ৭ গুণ কম খ’র’চে

দিনের পর দিন যেভাবে গরমের পরিমাণ বাড়ছে তাতে এখন প্রত্যেকটা ঘরেই যেন এয়ারকন্ডিশন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না। সারা দিন প্রত্যেকটা মানুষের কাজকর্ম করার পর ভাবে একটা সময় ঘরে গিয়ে আরামের ঘুম কাটাবে কিন্তু যাদের এয়ার কন্ডিশন রয়েছে তাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হয় না, কিন্তু যাদের নেই তাদের সত্যিই খুব কষ্ট হয়ে যায়। সকলের সব রকম সামর্থ্য থাকে না সেই জন্য কারোর এয়ারকন্ডিশন থাকে আবার কারোর থাকে না তবে যাদের থাকে না তাদের জন্য এবার এসির মত ঠান্ডা হাওয়া পাওয়ার মতো এক ব্যবস্থা করলেন এক গবেষক।

এই গবেষক হরিয়ানার বাসিন্দা, ডক্টর সুদর্ষণ মালিক। বায়ুতে যে পরিমাণ তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে প্রধান কাজ করছে বায়ু দূষণ এবং এই বায়ুদূষণে হচ্ছে এসির কারণে। একদিকে এসি যেমন মানুষের জীবনকে আরো বেশি আরামদায়ক করে তোলে তিনি আর একদিকে বায়ু দূষণের প্রধান কারণ । কিভাবে বাঁচা যাবে? এর ব্যবস্থা বের করেছেন এক ডাক্তার শিবদর্শন মালিক। তিনি জানান যে গরুর গোবর থেকে তৈরি হয় এক ধরনের বৈদিক প্লাস্টার এবং এই প্লাস্টার বাড়িতে ব্যবহার করলে হতে পারে এসির মত ঠান্ডা ঘর।

ডক্টর শিভদর্শন মালিক ২০০৫ সালে এই প্লাস্টার দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। প্লাষ্টার বানানো হয় দেশি গরুর গোবরের মধ্যে গুয়ার গাম,জিপসাম, মাটি এবং অন্যান্য কিছু বস্তু মিশিয়ে। এই ধরনের প্লাস্টার তাপরোধী। গবেষণা করে ডক্টর শিবদর্শণ এই ধরনের একটি প্লাস্টার তৈরি করেছেন। এই প্লাস্টার বর্তমানে গুজরাট, মুম্বাই, কলকাতা, কর্ণাটক জাতীয় জায়গাতে অনেকেই ব্যবহার করছেন। ডক্টর শিব দর্শন মালিকের মতে প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে আমাদের নিজেদের স্বার্থে।

আগেকার দিনে বাড়িতে গোবর লেপা হতো যার জন্য ঘর অনেক ঠান্ডা হতো, কিন্তু বর্তমানে সেই রকম কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে এবং যার জন্য ঘরে অনেক রোগ দেখা দিচ্ছে। গোবরে সবথেকে বেশি প্রোটিন উপাদান থাকে এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করে, সেই জন্যেই এই ধরনের প্লাস্টার ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের প্লাস্টার ঘরের তাপমাত্রাকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।