সন্দেহ অনেক আগের থেকেই ছিল এবার তার প্রমাণ মিলল ইডির তরফ থেকে। গত বছর অর্পিতার ফ্লাট থেকে যে টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছিল সেটা আসলে কার? সেই নিয়েই প্রশ্ন করা হচ্ছিল ইডির তরফ থেকে। এবার তার উত্তর পাওয়া গেল।২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আর তারপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকা ও সোনা। এরপরে অর্পিতাকেও গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু সেই লুকানো টাকা ও সোনা আসলে কার সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, দুজনেই মুখে কুলুপ এটে থাকে। তবে বলা যেতে পারে এবার অপেক্ষার অবসান ঘটল।
কারণ ইডি এবার সেই রহস্যের উদঘাটন করেছে। এতদিন রহস্যই ছিল বিষয়টা এবার সেটা প্রকাশ্যে আসতেই একেবারে শোরগোল পরে গেল। ফ্ল্যাটে জমানো টাকা ও গয়নার মালিক আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতার তরফ থেকে জেরায় এই কথা কবুল করেছে সে নিজে।
আরো খবর: ১২ কোটির লটারি জি’তে’ছেন স্বামী, স্ত্রীকে কিছু না জানিয়েই প্রাক্তণকে ফ্ল্যাট উপহার
ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়ে জানালো ইডি। এখানেই শেষ নয় এমন কি এটাও জানা যায় ফ্ল্যাটে সেই টাকা ও গয়না লুকিয়ে রাখার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অনুমতি দেয় অর্পিতা। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে পার্থ মামলার শুনানি ছিল। আর সেই কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
শুনানিতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ আসলে ইডি সেই বিষয় নিয়ে দারুণভাবে কটাক্ষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকি ইডি এটাও বলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে যেভাবে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঠিক একইভাবে শিক্ষাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।