করোনা আতঙ্কে এমনিতেই আতঙ্কিত মানুষ। বিশেষত তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। তবে তৃতীয় ঢেউ দেশে পুরোপুরি আছড়ে পড়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদের মধ্যে কারও শরীরে ডেঙ্গুর উপস্থিতি মিলেছে, কারো কারো শরীরে আবার স্ক্রাব টাইফাসের দেখা মিলেছে।
ফলে স্বভাবতই শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা। তারই মধ্যে আবার জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো শিশুর। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে তিন মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অজানা জ্বরে আতঙ্কিত হয়ে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত যত জন শিশুর পরীক্ষা করানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জনের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছে।
মেডিকেল কলেজে আরও সাতজন শিশুর শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু মিলেছে। যার ফলে করোনা আতঙ্কের মধ্যে এখন থেকে শিশুদের নিয়ে আরো নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গে। যদিও বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে এখন আর স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ বর্তমানে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা সম্ভব।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ থেকে ৬৫ জন শিশুর নমুনা পৌঁছেছিল কলকাতায়। এখন কলকাতা থেকে যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে ছয় জনের শরীরে স্ক্রাব টাইফাস এর জীবনী এবং সাতজনের শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু মিলেছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন করোনা জ্বরের দোসর হিসেবে মাথাচাড়া দিচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। বিগত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গের একাধিক অঞ্চলে স্ক্রাব টাইফাস থাবা বসিয়েছে মানুষের শরীরে।