দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল বেঁধে যাচ্ছিল তাকে নিয়ে। সহকর্মীদের সঙ্গে তার অশালীন আচরণ, নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবা কিংবা দলের অন্যান্য কারও পরামর্শ না মেনেই কাজ করা প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে জেলার বহু তৃণমূল নেতা তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে অভিযোগ জানাতেন। এবার আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন মাথায় রেখে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে আয়োজিত একটি প্রশাসনিক সভায় মহুয়া মৈত্রকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন একাধিক পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বারবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উজ্জ্বল বিশ্বাস নদীয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাহা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মনোমালিন্যের কথা প্রকাশ হয়েছে।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতৃত্ব নদীয়া জেলাতে জেলা নেতৃত্বের থেকে কৃষ্ণনগরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে অভিযোগ শুনে আসেন। শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়ার প্রতি কড়া মনোভাব নিলেন। এদিনের বৈঠকে তিনি মহুয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, পক্ষে বা বিপক্ষে কে রয়েছে তা দেখার দরকার নেই। লোক জোগাড় করে তাদের সাজিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিট্যালে দিয়ে এলে এমন রাজনীতি দীর্ঘদিন চলতে পারবে না। নির্বাচনের সময় দল ঠিক করে দেবে কে কার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই নিয়ে কোনো মতপার্থক্য থাকা উচিত নয়। এদিন মহুয়ার প্রতি এই বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা অন্তর্ঘাত বরদাস্ত করা হবে না মোটেই।