সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১৪০ কে’জি ওজনের ব্য’ক্তি, শরীরের চ’র্বি’তে ঢু’কে পরা বু’লে’ট খুঁজতে SSKM-র সময় লাগলো ৪ ঘ’ন্টা

শরীরের ওজন ১৪০ কেজি। না, বডি শেমিং এর ব্যাপার নয়। তবে শরীরের এই মাত্রাতিরিক্ত ওজনই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল মালদার ইংরেজবাজার স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেপাল চৌধুরী। সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতী তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে শরীর ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। কিন্তু নেপাল চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ, তার শরীরের অতিরিক্ত মেদ বহুলতা। শরীরে চর্বির মধ্যেই আটকে থেকে গিয়েছিল গুলি।

এমনকি চিকিৎসকেরা পর্যন্ত চর্বির মধ্যে আটকে থাকা সেই গুলি বের করে আনতে পারছিলেন না। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার অপারেশনের পর অবশেষে সেই গুলি বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। অপারেশন চলাকালীন প্রথম দেড় ঘন্টা নাকি শরীরের মধ্যে থেকে গুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেষ গুলি খুঁজে সেই গুলি বের করে আনতে আরো তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

গুলির আঘাত লাগার পর মালদা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতায় আনা হয় তাকে। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয় তৃণমূলের ওই নেতাকে। শুক্রবার তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওপেন সার্জারি করে সাধারণত বুলেট বের করা যায়। তবে নেপাল চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছিল না। মলদ্বারের কাছে আটকে গিয়েছিল গুলি। একই সঙ্গে তার শরীরে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

প্রস্রাবের সমস্যা, রক্তক্ষরণ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন নেপাল চৌধুরী। বুলেট বের করে আনার জন্য ল্যাপ্রোস্কপি করানো হয় তাকে। অবশেষে সাড়ে চার ঘণ্টার অপারেশনের পর বুলেট বের করা সম্ভব হয়। আপাতত সুস্থ আছেন তৃণমূলের ওই নেতা।