সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এমন এক মুরগি যে কিনা ১৮ মাস বেঁচেছিলো মাথা ছাড়াই! জানুন কা’হি’নী

আচ্ছা বলুনতো মাথা ছাড়া কখনো কি কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে? হ্যাঁ, জানি উত্তরটা না হবে। তবে এরকমই এক ঘটনা বহু বছর আগে আমেরিকায় ঘটেছিল। ১৯৪৫ সালে একটি মুরগি মাথা ছাড়াই এক বছরের বেশি বেঁচেছিল। আর সেই কারণে মুরগিটা সারা বিশ্বে বেশ ফেমাস হয়ে গিয়েছিল। এখনও আমেরিকায় তার একটি মূর্তি আছে।

আমেরিকা নিবাসী লয়েড ওলসেন একবার এক মুরগির মাথা কেটে ফেলার পর সেটি মারা না গিয়ে দৌড়োতে শুরু করে। সারাদিন এদিক ওদিক দৌড়ানোর পর লয়েড ওলসেন ওই মুরগিটিকে সারারাত একটি বাক্সে বন্দী করে রাখেন। পরদিন সকালে বাক্স খুলে দেখেন, খুব আশ্চর্যজনক ভাবে মুরগিটি তখনও বেঁচে আছে।

এই ব্যাপারটায় তিনি তো ভীষণ অবাক হয়ে যান। মাথা কাটা মুরগিটির নাম দেন মাইক এবং এরপর থেকে তিনি এই মুরগিটি নিয়ে অন্যদের সাথে বাজি ধরতে শুরু করেন। সবাইকে বলেন তাঁর কাছে একটি মাথা বিহীন জীবিত মুরগি আছে।

আরো পড়ুন: এই কারণেই বিরাট ও অনুষ্কা নিজেদের মেয়েকে ক্যামেরার সা’ম’নে আনেন না!

ঘটনাটি হাওয়ার মতো চারিদিকে খুব ঝটপট ছড়িয়ে পড়ে এবং আমেরিকার বিভিন্ন শহরে তিনি এই মুরগিটিকে নিয়ে প্রদর্শনী করতেও শুরু করেন। আর এইভাবে প্রচুর অর্থও উপার্জন করতে থাকেন। মুরগিটিকে জীবিত রাখার জন্য তিনি সরাসরি পাইপের মাধ্যমে তরল খাবার ঢালতেন এবং সিরিঞ্জের সাহায্যে গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতেন।

১৯৪৭ সালের ১৭ই মার্চ অ্যারিজোনা নামক এক হোটেলে ছিলেন ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী এর সাথে। সেখানে মুরগিটিও ছিল। রাত্রে হঠাৎই মুরগিটির আজব শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁরা দেখেন যে মাথা বিহীন মুরগিটি গলা ঝাপটাচ্ছে। সেই সময় তাকে বাঁচানোর জন্য যে সিরিঞ্জের প্রয়োজন ছিল তা তাদের কাছে ছিল না। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই মুরগিটি মারা যায়।

তবে মাথা ছাড়া কি আদৌ বেঁচে থাকা সম্ভব? কখনোই না। তবে এ প্রসঙ্গে আপনাদের বলি, একটি মুরগির চোখ তার খুলির পিছনের দিকে থাকে। তাই লয়েড তার মাথা কাটলেও মাথার পিছনের অংশ টা তখনও শরীরের সঙ্গে লেগে ছিল।

আর এইভাবেই সেটা জীবিত থেকে এদিক ওদিক পালাতে শুরু করে। তবে এই অবস্থাতেও এতদিন বেঁচে থাকা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এটি সত্যিই এক অলৌকিক ঘটনা। ফ্রুটাতে তার একটি মূর্তি আছে এবং সেটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর সেখানে হেডলেস চিকেন ফেস্টিভ্যাল হয়।