সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কিছুদিন পরেই জামাইষষ্ঠী, তার আ’গে জে’নে নিন জামাই-শাশুড়ির স’ম্প’র্ক মধুর হবে যে’ভা’বে

সামনেই জামাইষষ্ঠী। বাংলার ঘরে ঘরের শাশুড়ি এবং জামাইয়ের জন্য এর থেকে বিশেষ দিন আর হয় না। প্রত্যেক শ্বাশুড়ী এই বিশেষ দিনটিতে জামাইয়ের আপ্যায়নের জন্য বহু পরিকল্পনা আগে থেকেই নিয়ে রাখেন। আর জামাইরাও শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না খেতে পাড়ি দেন শ্বশুরবাড়িতে। এখন জামাই আর শাশুড়ি মধ্যে যদি সম্পর্কই না ভালো হলো, তাহলে এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব থাকে কি?

শাশুড়ি এবং জামাইয়ের সম্পর্ক আর পাঁচটা সাধারণ সম্পর্কের মতো নয়। এই সম্পর্কের যত্নও তাই আলাদা রকম ভাবেই নিতে হয়। এই সুমধুর সম্পর্কটিকে মাধুর্য্যের সঙ্গে টিকিয়ে রাখতে হলে মেনে চলুন কিছু টিপস।

জামাইদের জন্য বিশেষ টিপস:

১. শাশুড়ি মা আপনার নিজের মায়ের মতই। অতএব মায়ের সঙ্গে যেমন খোলামেলাভাবে মেশেন, শাশুড়ি মায়ের সঙ্গেও তেমন বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। মাঝেমধ্যেই তার খোঁজখবর নিন, তার কাছে বিশেষ খাবার খেতে চাওয়ার আবদার করুন।

২. শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে তিনি মনে করেন যে আপনি তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না।

৩. মা-মেয়ে কিংবা মা-ছেলের সম্পর্ক হয় বিশেষ। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি সেই সম্পর্কে নাক গলালে তা বিশেষ কাম্য হয় না। অতএব শাশুড়ির সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে আপনি বেশি মাথা ঘামাতে যাবেন না।

শাশুড়ি মায়েদের জন্য কিছু বিশেষ টিপস:

১. জামাই যদি আপনাকে নিজের মায়ের মত দেখেন তাহলে আপনিও তাকে নিজের ছেলের মতোই ভাবুন। তার কাছে টুকটাক কিছু আবদার করতেই পারেন।

২. জামাই যদি কোনো বিষয়ে আপনার থেকে পরামর্শ না নেন তাহলে নিজে থেকে যেচে পরামর্শ দিতে যাবেন না।

৩. মেয়ে-জামাইয়ের সম্পর্কের মাঝে আপনি নাক গলাতে যাবেন না। তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন তাদেরকেই মিটাতে দিন। তবে তারা যদি আপনার পরামর্শ নিতে আসেন তাহলে অবশ্যই তাদের উচিত পরামর্শ দেবেন।