এসএসসি দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের রাখা হয় ইডি হেফাজতে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মহাসচিব গ্রেফতার হওয়ার পরই শোনা যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে।
পরে আবার ভুবনেশ্বরের এআইআইএমএস- এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় আদালতের নির্দেশে। আর তার পরেই জানা যায় পার্থ বাবু বেশ কিছু জটিল রোগের রুগী। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে সাথে হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস রোগ ওনার বর্তমান।
এআইএমএস থেকে তবে এও বলা হয় যে, এই রোগ গুলির জন্য ওষুধ নেওয়াই যথেষ্ট। তাঁকে ভর্তি করার কোনো দরকার নেই।
যখন এই পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তখন জানা যায় তাঁর ওজন প্রায় ১১১ কেজি। উচ্চতা ১৬৭ সেন্টিমিটার এবং তাঁর বয়স ৬৯।
আরো পড়ুন: আজাদীর অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে একাই ৩০ লক্ষ পতাকা তৈ’রি করলেন ৮৩ বছরের আব্দুল চাচা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুক্রবার যাওয়ার আগেই যখন তাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। দেখা যায়, এই জেলে কাটানো ১২ দিন পরে তাঁর ওজন অনেকটাই কমেছে। ৩ কেজি ওজন ঝরেছে তাঁর বলেই সূত্রের খবর।
আপাতত ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। পার্থ বাবুর রাত কাটছে খুব সাধারন ভাবে। খাবারে সে খাচ্ছে রুটি, সবজির তরকারি, ডাল।
মাটিতে কম্বল পেতে ঘুমোচ্ছেন তিনি। তাঁর সময় কাটছে বই পড়ে। তাঁর এত বিলাসবহূল জীবন এখন অতীত। শুধু তাই নয়, তিনি যে সেলে আছেন তাঁর পাশের ঘরে আইএসআইএস জঙ্গিদের রাখা হয়েছে। একই ব্লকে আছেন সুদীপ্ত সেনও।
অন্যদিকে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। তিনি সেখানে পৌঁছে নাকি ভীষন কান্নাকাটি করেন বলে জানা যায়। সেই রাতে কিছু খাননিও। অবশ্য পরেরদিন সকালে তিনি চা বিস্কুট খেয়েছেন বলেই জানা গেছে। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলে চলেছেন তাঁর মক্কেল নাকি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কে চেনেই না।