আবেদন প্রক্রিয়ায় গোলযোগের কারণে অনেক সময় যোগ্য পড়ুয়ারা বৃত্তির হাত থেকে বঞ্চিত হন। রাজ্যে তফসিলি জাতি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের আবেদন জানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করতে রাজ্য সরকারের তরফে এক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সূত্রে খবর, গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যাবস্থা করা হবে।
যেসকল শিক্ষকরা আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইন প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে হবে।যোগ্য পড়ুয়ারা যাতে কোনভাবেই বৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রধানত যে সমস্যা গুলি দেখা যাচ্ছে –
১. আবেদন পত্রের সঙ্গে আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেকেই এই ডকুমেন্ট গুলি জমা দেয়নি।
২. অনেকে আবেদনপত্রে আধার কার্ডের নম্বরও ভুল লেখে। এমনকি আধার কার্ডে কিছু ত্রুটি থাকছে।
৩. অনেকেই পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট জমা দেয়না।
৪. অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট- এর সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করা নেই।
এর ফলে রাজ্যের অন্যাগ্রসর কল্যান সচিব সঞ্জয় বনশাল জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে পড়ুয়াদের আধার কার্ড, শংসাপত্র , পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছেন।