মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে বিজয় সংকল্প র্যালিরতে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।সেখান থেকেই তিনি বার্তা দিয়েছেন যে, ‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশে কোন আইন থাকুক, বিজেপি এর ঘোর বিরোধী। ‘ ১৯৫০ সালে জন্মলগ্ন থেকেই বিজেপির প্রধান দাবি ছিল দেশে এক ও অভিন্ন দেওয়ানী আইন জারি করা।
কিন্তু এখনও বেশ কিছু রাজ্য এবং বিরোধী দলের আপত্তির ফলে আটকে রয়েছে আইনটি। তিনি জানিয়েছেন অতি শীঘ্রই দেশের তিনটি রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি লাগু হবে এবং সাধারণ মানুষ এর সুফল খুব তাড়াতাড়িই বুঝতে পারবেন। প্রসঙ্গত, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রবর্তনের জন্য আইন আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘জনসংঘের সময় থেকেই আমরা সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রবর্তনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি তা পূরণ করবই। শুধু ভোট বাক্স ভরতে এই প্রতিশ্রুতি ছিলনা। আমরা রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আপনারা দেখতে পাবেন।
তিন তালাক বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যা আমরা রেখেছি। ৩৭০ ধারা বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম । ২০১৯ সালের ৫ই অগস্ট যা বাতিল হয়েছে। এই সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কোনও নির্বাচন ছিল না।’
বিশেষজ্ঞদের মতে চব্বিশের ভোটকে পাখির চোখ করে নিজেদের পুরনো অস্ত্রেই শান দিতে শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, ‘নিজেদের উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভাবধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই বিজেপি’র এই প্রয়াস।’