বর্তমানে সরকারি স্কুল গুলিতে নিজেদের সন্তানদের ভর্তি করানোর ঝোঁক কমছে অভিভাবকদের মধ্যে।অন্যদিকে তরতরিয়ে নিজেদের ব্যাবসা বাড়াচ্ছে বেসরকারি স্কুল গুলি। ‘ মিড ডে মিল ‘ সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে থাকলেও সেখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
কারণ হিসেবে অনেকেই বিদ্যালয়ের নিতিয়ে পরা শিক্ষা ব্যাবস্থাকে দায়ী করছেন। এইদিকে শিক্ষক বদলি মামলার শুনানিতে এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শিক্ষকদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘ নিজের সন্তানকে তো সরকারি টাকায় বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন, কিন্তু নিজের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সন্তানের মত পড়াচ্ছেন তো?
কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করি সে আপনাদের কাছ থেকে কী শিখছে সেক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়তে হবেনা তো আপনাকে’?’ যে স্কুল গুলিতে পড়ুয়া সংখ্যা কম সেগুলিকে বড় স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
কোনও শিক্ষক বদলিতে যেতে না চান তাহলে তাঁকে বরখাস্ত করার অধিকারও পর্ষদের হাতে। তিনি আরও বলেন যে, ‘রাজ্যে গতবারের তুলনায় (WBBSE বোর্ড) ৪ লক্ষ কম পড়ুয়া এবার মাধ্যমিকে বসছে কিন্তু সরকার আরও ১০ হাজার শিক্ষক চাইছে। কী হবে এত শিক্ষক দিয়ে।
রাজ্যের বহু স্কুলে ৩০-৫০ জন ছাত্র যেখানে শিক্ষক সংখ্যাই ১০ – ১৫ জন। এদের দ্রুত বদলি করুন। এভাবে সরকারি টাকার যথেষ্ট অপচয় হচ্ছে’।দরকারে পর্ষদের আইনে বদল আনার কথাও বলেছেন তিনি।