তাপ পরিচর্যা করার জন্য নিত্য নতুন দামী দামী কসমেটিক ব্যবহার করেন এই প্রজন্মের মহিলারা। তবে কেমিক্যাল মিশ্রিত এই সমস্ত উপাদানের ব্যবহার ছেড়ে যদি প্রাকৃতিক উপায় এর উপর আপনি ভরসা করতে পারেন তাহলে পার্থক্য হাতেনাতে বুঝতে পারবেন। আজ এই প্রতিবেদনে কিভাবে দুধের ব্যবহারে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন আপনি সে কথাই আজ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আমরা।
কাঁচা দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বায়োটিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড। ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় কাঁচা দুধ। দুধ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ক্লিনজার যা ত্বকের ময়লা দূর করবে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাবে। কাঁচা দুধের তৈরি ক্লিনজারের মধ্যে হাইড্রোক্সি এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা বার্ধক্য দূর করে দিতে পারে।
দুধের ক্লিনজার বানানোর জন্য আপনাকে চার চামচ দুধের মধ্যে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি ভালো করে মুখে এবং গলায় লাগিয়ে নিতে হবে। বাজার চলতি যে কোন কসমেটিকের বদলে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন যদি এটি প্রত্যেক দিন ব্যবহার করেন। যদি ত্বক স্ক্রাব করতে চান সেক্ষেত্রে উপকারী কাঁচা দুধ। ক্লিনজারের মাধ্যমে মুখ পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে ফেস স্ক্রাব করাটাও ভীষণভাবে জরুরী।
আরো খবর: ঐন্দ্রিলার মৃ’ত্যু’শো’ক বু’কে নিয়েই কা’জে ফিরছেন সব্যসাচী, আসছে নতুন সিরিয়াল
কাঁচা দুধের সঙ্গে ফেস স্ক্রাবার ত্বক থেকে মৃত কোষ, ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইটহেড দূর করে দেয়। দুধ দিয়ে আবার বানানোর জন্য দুধ এবং এক চামচ আটা দিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এবার এতে অল্প চিনি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি ফেসপ্যাক তৈরি করতেও ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা দুধ।
কাঁচা দুধের ফেসপ্যাক ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে ব্রণ এবং বলিরেখা দূর হয়ে যায়।ফেসপ্যাক বানানোর জন্য অর্ধেক কলার সঙ্গে কাঁচা দুধের মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন মুখ।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এছাড়া শীতে বেসন এবং মুলতানি মাটির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে অল্প পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন আপনি। নিয়মিত ব্যবহারে মুখে সমস্ত দাগ দূর হয়ে যাবে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা কলা এবং মধু দিয়ে দুধের ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক হলে দুধের বদলে ব্যবহার করতে পারেন দই।