এই চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের। উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলা হাসপাতালে থেকে তান্ত্রিকরা জরুরি ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। এ নিয়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্বাস্থ্য দফতরে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও তারা পুরো বিষয়টি নিয়ে নীরবতা পালন করছেন। মহোবা জেলার কুলপাহাড়ের অন্তর্গত খুদার বাসিন্দা গুলাব সিংয়ের ২২ বছর বয়সি মেয়ে সন্ধ্যা যাদবকে রবিবার বিছে কামড়ায়।
পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিতাইয়ান গ্রামের রামদাসও এখানে ভর্তি হন। তাকেও বিছে কামড়েছিল। হাসপাতালে সুফল না পেয়ে রোগীর পরিজনরা তান্ত্রিকদের হাসপাতালে ডেকে পাঠান।
এক তান্ত্রিক এসে সন্ধ্যা ও রামদাসকে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডেই চিকিৎসা করেন। এই সময় হাসপাতালে মোট ৩ জন তান্ত্রিক ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, জরুরি ওয়ার্ডে তান্ত্রিকদের উপস্থিতি সম্পর্কে তারা জানত না বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঝাড়ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা করতে আসা গোর্খা গ্রামের বাসিন্দা লাখনলাল জানান, প্রতিদিনই তাঁর কাছে রোগীরা আসেন। তিনি জেলা হাসপাতালে এক মহিলা রোগীর চিকিৎসা করেছেন। তিনি ১০০ শতাংশ সুস্থ হবেন বলেও দাবি করেন।