পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কিছুদিন ধরেই সেনাবাহিনীর ‘অপছন্দের’ প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেন সংকটের জন্য ইমরান অকারণে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে চটানোয় প্রধানমন্ত্রী ইমরান পাক সেনাবাহিনীর চক্ষুশূল হয়েছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস’ পার্টির (পিপিপি) প্রায় ১০০ জন সাংসদ জাতীয় আইনসভার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস দিয়েছে।
অভিযোগ, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা ও প্রচণ্ডভাবে মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী পিটিআই সরকার। জানা গিয়েছে, ক্ষমতাসীন পিটিআইয়ের ২৫ জন বিক্ষুব্ধ সাংসদ ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
আরো পড়ুন: ফের বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ধ’রা পরলো ফা’ট’ল! উড়ান পরিষেবা ব’ন্ধ
তবে, প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের ইস্তফা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত OIC বৈঠকের পরেই তাঁর ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে।
আগামী শুক্রবার পাকিস্তান সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসতে চলেছে। কুর্সি বাঁচাতে রবিবারও তিনি বলেন, দলের ২৪ জন বিক্ষুব্ধ সাংসদ যদি ফিরে আসেন, তিনি তাঁদের ‘করুণাময় ইশ্বরের মতো’ ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু, তাঁদের মন পরিবর্তনের আপাতত কোনও ইঙ্গিত মিলছে না।
ফলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ইমরানের পরাজয় নিশ্চিত।তবে, হার নিশ্চিত জেনেও তিনি অনাস্থা ভোটে যাবেন, নাকি তার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন সেটাই দেখার। আর, সেই সঙ্গে পাকিস্তানে ফের সেনা শাসন ফেরার সম্ভাবনা বাড়ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশিরভাগ সময়েই সামরিক শাসকের হাতে থেকেছে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন: বাংলায় কবে দা’প’ট দেখতে পাওয়া যা’বে কালবৈশাখীর?