পড়াশোনার পাশাপাশি মানুষের আরও অনেক শখ থাকে। কেউ নাচতে ভালোবাসে, কেউ গাইতে, কেউ বা আবার নিত্য নতুন ছবি আঁকতে। বালুরঘাট শহরের রথতলা এলাকার বাসিন্দা স্নিগ্ধা সমাজদার। ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকার প্রতি ছিল বিশেষ উৎসাহ। আঁকতে খুবই ভালোবাসে স্নিগ্ধা। তার বিশেষত্ব হল সে কখনোই গতে বাঁধা আঁকত না। অর্থাৎ সে দিকে তার ঝোঁকটা একটু কম ছিল। মূলত হাতের কাছে সে যা পেত তাতেই ছবি আঁকত। বরাবরই অন্যরকম আঁকার দিকে বেশি নেশা ছিল। আর তাই আর্ট পেপার বা অন্য কিছুকে ছবির ক্যানভাস হিসেবে বেছে না নিয়ে নিজের হাতেই ছবি আঁকা শুরু করে। বিভিন্ন রঙ দিয়ে হাতেই বিভিন্ন পশুপাখির মুখের ছবি ফুটিয়ে তুলতে থাকে। এবার তা এঁকেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে স্নিগ্ধা। সে বর্তমানে বি ফার্ম নিয়ে পড়াশোনা করে। পাশাপাশি ছবি আঁকা ফুলদমে চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে শংসাপত্র, মেডেল সহ অন্যান্য উপহার পেয়ে গিয়েছে স্নিগ্ধা। আগামী দিনে তাদের মেয়ে আরও নতুনত্ব কিছু সৃষ্টি করবে বলেই পরিবারের বিশ্বাস। বালুরঘাটের মেয়ে স্নিগ্ধা সমাজদারের বাড়িতে বইছে খুশির হাওয়া। স্নিগ্ধার বাবা শিব শঙ্কর চৌধুরী পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর বক্তব্য, “মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালবাসত। এখন সে কলকাতার একটি কলেজে বি ফার্ম নিয়ে পড়াশোনা করছে। তবে লকডাউনের জন্য কলেজ বন্ধ থাকায় সে অনেক দিন ধরেই বাড়িতে রয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে কলেজের ক্লাস চলছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি আরও কিছু গঠনমূলক কাজ করার প্রচেষ্টা তার মধ্যে ছিল। আর সেখান থেকেই এরকম ভাবনার উৎপত্তি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তারপর থেকেই হাতে রং করে বিভিন্ন পশু পাখির ছবি আঁকতে শুরু করে। প্রথমদিকে ফেসবুকে ছবিগুলো দিয়ে অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তারপরই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন করেছিল।
এ ধরণের ছবি দেখে সত্যিই আমরা অভিভূত। এরপর গত মাসের ২১ সেপ্টেম্বর সে জানতে পারে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম স্থান পেয়েছে। তার এই সাফল্যে আমরা পরিবারের সকলে খুব খুশি। স্নিগ্ধা ভবিষ্যতে এভাবেই আরও এগিয়ে যাক এই কামনাই করি।” বালুরঘাটের মতো একটি প্রত্যন্ত শহর থেকে জাতীয় স্তরের রেকর্ড বুকে নাম তুলতে পেরে স্নিগ্ধা নিজেও যে খুব খুশি হয়েছে তা তার কথাতেই স্পষ্ট। ভবিষ্যতে আরও বিশেষ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।