রাজনীতি হবে আর রাজনৈতিক হিংসা হবে না তো কখনো হতে পারে না। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা মরণ পত্র জমা দিতে পারেনি শুধু মাত্র শাসক দলের জন্য। রাজ্যের বিরোধী দলের মত অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে প্রায় ২০০ র বেশি মানুষ রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন। যদিও এই বিষয়ে সরকার কোনো কথা বলেননি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছিল।
বছর দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে শাসকদলের দাপুটে নেতা বিরোধীদের চরম হুমকি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচনকেও কোনভাবেই শান্তিপূর্ণ হতে দেবেন না তারা। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়ন জমা দেন তাহলে তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারবেন না।
এইরকম প্রকাশ্যে একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তবে আব্দুল মান্নানের এই উক্তি শুনে বোঝা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচন আরো একবার রক্তাক্ত হতে চলেছে। এই বিতর্কিত বয়ান প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা অর্থাৎ বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ করা শুরু করেছেন। ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের আরো একবার সরব হয়েছেন তারা।
সোমবার বীরভূমের লাভপুরের দ্বারকা গ্রামে তৃণমূলের বিধায়ককে সম্মান দিতে সেখানে পৌঁছেছিলেন আব্দুল মান্নান। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে মান্নান সাহেব বলেছিলেন, আর যারা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে যেন বিজেপির কোন সত্তা না থাকে। আগামী বছরে আরো একবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ওই ভোটে আমরা ওরা বলে আর কিছু থাকবে না। সকলেই থাকবেন তৃণমূলের প্রার্থী। অন্য দলের হয়ে কেউ যদি মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে, তাকে আর বাড়ী পৌছতে দেব না আমরা।