দিনহাটা ভেটাগুড়ি এক পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের উপপ্রধান ছিলেন ২০১৩ সালে নিশীথ প্রামানিক। এর পরে আস্তে আস্তে এই তৃণমূলের যুব নেতা শক্তিশালী মুখ হয়ে উঠল কোচবিহারে এবং তারপরেই তৃণমূলে থাকার সময় কোচবিহারে অনেক দাপট দেখিয়ে বেরিয়েছিল এই নেতা। এবারের লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের এই যুবনেতা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেয় বিজেপিতে এবং খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে তার জায়গা করে নেয় এবং সংসদের টিকিট তিনি পেয়ে যান।
খবর শোনা গিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব প্রিয় ছিলেন এই তরুণ সাংসদ। এবার তাকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন যে, যখন নিশীথ প্রামানিক তৃণমূলে ছিলেন সেই সময়ে মুকুল রায়ের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোটে দিনহাটা কেন্দ্রের বিধায়কের টিকিট পেয়ে দাঁড়ালেও তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি।
মাত্র ৫৭ ভোটে তিনি জিতেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন যে বিধায়ক হয়ে যাওয়ার পরে এলাকাতে খুব একটা বেশি তাকে দেখা যায়নি। তার সমস্ত সঙ্গীরা আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন। এই রকম অবস্থায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব আর কোন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
রাজনৈতিক মহলের দাবি যে, কেন্দ্রীয় চেয়ারে এবার বসবে নিশীথ প্রামানিক, যার ফলে উত্তরের রাজবংশী তথা গ্রেটারদের মন একেবারে জয় করে ফেলেছেন। অন্যদিকে আবার রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী তার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ হারালেন । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে দেবশ্রী চৌধুরীর কার্যে খুশি নন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেই কারণেই তাকে এই পদ হারাতে হয়েছে।