বাড়িতে হোক কিংবা বাইরে, খাবার কথা উঠলেই তখন মনে পড়ে যায় নানান রকমের খাবারের নাম, সাথে মনে ভাসতে থাকে কোন খাবারটি কোন ধরনের এবং কোন খাবার খেলে বেশ মজা আসবে। আমরা খাবারের দোকান এবং খাবারের রেসিপি এবং খাবারটি কেমন খেতে এই তিনটে জিনিস ছাড়া খাবারের পিছনে আরো কোনো ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে কি-না সে বিষয়ে কিছুই জানতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি না।
বাচ্চা থেকে অল্পবয়স্কা সমস্ত মানুষদের ভীষণ প্রিয় খাবার স্যান্ডউইচ, পাস্তা এই ধরনের খাবার। কিন্তু কারোরই মাথায় আসে না এই স্যান্ডউইচ নামটা এই খাবারের হলো কেন? কেইবা এই খাবারের নামটি এরকম দিয়েছিল ? ব্যাপারটি হলো খাবারের নাম গুলি কোন এক ব্যক্তির নাম অনুসারেই দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনেনি সকলের প্রিয় পাঁচটি খাবার এর ঐতিহাসিক গল্প এবং কেনই বা এই খাবারগুলি নাম এইরকম দেওয়া হয়েছে।
আজকালকার মানুষদের সবথেকে কম সময়ে তৈরি করা সুস্বাদু খাবার ম্যাগি বাচ্চা থেকে ও সকল মানুষদের এই খাবারটি ভীষণ পছন্দ। তবে ম্যাগির মতো সুস্বাদু খাবারটি মাত্র ২ মিনিটে বানিয়ে নেওয়া যায় সেই রকম খাবারের নাম এরকম হলো কেন? আসলে এই খাবারটি নাম দেওয়া হয়েছে এক ব্যক্তির নাম অনুসারে। অনেকে বলেন যে নাকি ম্যাগির মতোই খাবারটির আবিষ্কার করেছেন সেই ব্যক্তি যার নাম অনুসারে এই খাবারটির নামকরন করা হয়েছে। অনেকেই বলেন যে ম্যাগির মতো সুস্বাদু খাবারটি আবিষ্কার করেছেন জুলিয়াস মাইকেল জোনাস ম্যাগি। যার নাম অনুসারে এই দু মিনিটের খাবারটির নাম হয়েছে ম্যাগি।
দ্বিতীয় খাবারটি হলো স্যান্ডউইচ। এই খাবারটি নাম স্যান্ডউইচ হওয়ার কারণ হল এক জনের খাওয়ার ধরনের ওপর ভিত্তি করে তার খাওয়ার ধরনটা এমনই ছিল যে, দুটি পাউরুটির মধ্যে তিনি একটি মাংসের টুকরো নিয়ে রেখেন এবং তার কারন হল তিনি স্যান্ডউইচ খেতেন তাস খেলতে খেলতে এবং তার হাতে যাতে কোনরকম এটো না লাগে সেই জন্যই তিনি এই রকম করে খেতেন।
এরপরের খাবারটি হল সিজার স্যালাদ। এই খাবারটি প্রথম পরিবেশন করা হয়েছিল মেক্সিকোর একটি হোটেলে কি নাম ছিল সিজার। এটা ভীষণ স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু।
আরেকটি খাবারের নাম হল পিৎজা। পিৎজার নামকরণ করা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে, ইতালির এক রানি মারঘারিতা তার নামে এই ধরনের খাবারটি নামকরণ হয়েছে।
পরের খাবারটি নাম হলো নাচোস। শেফ ইগলাতিসো আনায়ার য়ার ডাকনাম ছিল নাচোস। এই ডাকনামের ওপর ভিত্তি করে এই খাবারটি নাম রাখা হয়েছিল নাচোস।