প্রাথমিকে ২০১৬-১৭ সালে মোট ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছিল। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।তিনি জানিয়েছেন আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ আছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪-র টেট-উত্তীর্ণদের ২০১৬-য় নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়াই খারিজ করে দেওয়া যায়।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির জাল যে কত দূর ছড়িয়ে রয়েছে ,তার নাগাল পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে ED ও সিবিআই কে । প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্নীতির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতির।তার কথায় তিনি দুর্নীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসাধু উপায় অবলম্বন করার জন্য ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের দাবি ওঠে । কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের কথা ভাবতে হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন ‘যোগ্যদের চিহ্নিত করার কি কোনো উপায় আছে ? সব উত্তরপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিচারপতির উদ্দেশ্যে বলেন ,’যদি পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়, তবে যোগ্যদের বক্তব্য আলাদাভাবে শুনতে পারে আদালত।’ অন্যদিকে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আদালতের কাছে দুর্নীতির এত তথ্য প্রমাণ আছে যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬’র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়।
কিন্তু এটা করলে কিছু বৈধভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরাও নিজেদের চাকরি হারাবেন। একজন বৈধপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা আমি চাই না।দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি । কিন্তু, সমুদ্র থেকে মানিক বেছে তুলতে হবে। “আগামী ৪-৬ এপ্রিল মামলায় সব পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনা হবে। এরপরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত নির্ণয় নেওয়া হবে।