বাংলা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই এবার দিল্লি জয় করার জন্য অগ্রসর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সেই কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরা এবং অসমে সংগঠন বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সরকার। আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে এই দুটি রাজ্য কে নিজের ক্ষমতা দখলে আনার জন্য ইতিমধ্যেই একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন শুরু করেছেন তিনি।
এবারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট তৃণমূল কংগ্রেসের পথ অবলম্বন করলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কার্যত উত্থান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফ। বাম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট স্থাপন করে বেশ কিছুটা আলোড়ন তুলতে সমর্থ হয়েছেন তারা, এখন পুরোপুরি তৃণমূল সরকারের দেখানো পথ অবলম্বন করে ত্রিপুরা এবং অসমের দিকে অগ্রসর হয়েছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে ত্রিপুরা এবং অসম সফরে যেতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকী। আগামী নির্বাচনে অসমের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের নজর রাখছেন তারা। তবে বামপন্থীরা এই পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। সিপিআইএম জানিয়েছেন, বাংলার বাইরে বিরোধী জোট তৈরি করার জন্য তৃণমূলের হাতে হাত দিতে রাজি তারা।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে মহাজোট তৈরি করলেও সেই ভাবেই উপকারে আসেনি তারা।বর্তমানে বাম শিবিরের সঙ্গে খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের,এমন কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। আগামী স্বাধীনতা দিবসে নাকি একাই সংবিধান বাঁচাও কর্মসূচি পালন করতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল। বামপন্থী নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দূরত্বে স্থাপন করতে শুরু করেছেন তারা। বাম কংগ্রেস এবং আইএসএস মহাজোটের যিনি একমাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন তিনিও আই এস এফ এর দলের, তাই আব্বাস সিদ্দিকীর মতো নেতারা যদি বামপন্থী মানুষদের কাছ থেকে যদি সরে যান, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বামেদের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
