সারা দেশ জুড়ে শীতের বিদায় ঘণ্টা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে। তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বগামী। মরশুর ভবন সূত্রে খবর গত কয়েক দশকের তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে এবারের গ্রীষ্মকাল। যে কোনরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতকে প্রস্তুত করতে মঙ্গলবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সূত্রে খবর পরিস্থিতিকে হাতের নাগালে রাখতে,তীব্র দাবদাহে প্রাণ ও সম্পত্তিহানি রুখতেই এই উদ্যোগ। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি শেষে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মরশুম ভবন জানিয়েছে যে গত দশ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙবে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চলা তীব্র দাবদাহ। এতে যেমন বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পরে, তেমনই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে চাষীরাও। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ,কৃষিকাজের ওপর বৃষ্টির প্রভাব,দাবদাহ সংক্রান্ত অসুস্থতার মোকাবিলা করতে কতটা তৈরি চিকিৎসা পরিষেবা বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ কিছুটা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গেও সূর্যমামা নিজের প্রকোপ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। বসন্তের আগমনে গাছগুলির পুরনো পাতা ঝড়ে গিয়ে নতুন পাতা গজাচ্ছে। হোলিতেও এবার উচ্চ তাপমাত্রার কারণে নাজেহাল হতে হবে রাজ্যবাসীকে। বসন্তের মনোরম আবহাওয়ার বদলে থাকবে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
আরো খবর: আজ দোল পূর্ণিমা, জানুন উৎসবের বিশেষ দিনটি কেমন কা’ট’বে আপনার, দেখুন রাশিফল (07.03.2023)
পারদ উঠে যেতে পারে প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে,সঙ্গে যোগ হবে আদ্রতা।যা এই গরমকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। হওয়ায় অফিস সূত্রে খবর,গত ৩ মার্চ থেকেই তাপমাত্রা হু হু করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে কলকাতায়। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যের প্রকোপ কিছুটা আগের থেকেই দেখা যাচ্ছে।
ফলে মার্চ মাসেই গরমের দাপট অন্যবারের থেকে বেশি হবে বলেই খবর। আপাতত গরম থেকে স্বস্তির কোনো পূর্বাভাস নেই কলকাতার। কলকাতায় যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই তা জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
গত ১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি ছিল ২০২৩ এর।গোটা ফেব্রুয়ারি মাসে রাতের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ০.৮১ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ২৯.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এর আগে ১৯০১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সূর্য এইরকম দাপট দেখিয়েছিল।
