সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ট্রেন গোনার কা’জ ২৮ জন পেয়েছিলেন! একমাস পর স্যালারি না ঢুকতেই মাথায় হাত

আজকাল জালিয়াতির ঘটনা এমন এমনও ঘটছে যে মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে ফেলে আর ঠকে যায়। সম্প্রতি একটি ঘটনা সকলের সামনে এসেছে যা শুনে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছুই উপায় থাকে না। জানা গেছে, কিছু যুবককে চাকরি দেওয়ার নাম করে বলা হয় নিউ দিল্লির রেলওয়ে স্টেশনের আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্মে তামিলনাড়ুর কম করে ২৮ জন লোক মোটামুটি ১ মাস ধরে রোজ আট ঘন্টা ধরে আপ-ডাউন করা ট্রেনগুলি বগির কাউন্টিং করার জন্য।

এই লোকেদের বলা হয়েছিল যে এটাই তাদের কাজ। আর এই লোকেরা জানতো না যে রেলওয়েতে চাকরির নামে তাদের সাথে ফ্রড করা হয়েছে । তারা নিষ্ঠা ভরে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর তারা জানতে পারে তাদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা (EOW)-তে দাখিল হওয়া একটি নালিশ অনুযায়ী তাদের বলা হয়েছিল এই যাত্রা টিকিট পরীক্ষক, যাতায়াত সহায়ক ও ক্লার্কের পদের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের অংশ।

আর রেলওয়েতে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রত্যেকে ২ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত টাকা দিয়েছিল। কিন্তু এটা পুরোটাই একটি ফ্রড কেস ছিল। একমাস পরে এদের কোনো পেমেন্ট করা হয়নি। এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৭৮ বছর বয়সী এম সুব্বুসামি। অভিযোগ অনুসারে, ভুক্তভোগীরা জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক মাসের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতারকদের একটি দল সব প্রার্থীদের কাছ থেকে মোট ২.৬৭ কোটি টাকা লুঠ করেছে।

আরো খবর: কয়েকটি গ্রহ অবস্থান ব’দ’ল করেছে ইতিমধ্যেই, কার কেমন কা’ট’বে জানুয়ারি মাস?

আবার মাদুরাইয়ের ভুক্তভোগী ২৫বছর বয়সী স্নেহিল কুমার বলেছেন, “প্রত্যেক প্রার্থী সুব্বুসামিকে ২ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা দিয়েছেন এবং তিনি বিকাশ রানা নামে আরেকজনকে অর্থ প্রদান করেছিলেন। রানা দিল্লিতে উত্তর রেলের অফিসে ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন।” কিন্তু শেষ অবধি সবটাই ফেক বেরোয়। এদিকে সুব্বুসমি জানায় তিনি অবসর নেওয়ার পর থেকে সকলকে বিনা স্বার্থে সাহায্য করে এসেছেন।

তিনি এফআইআর-এ অভিযোগ করেছেন যে তিনি দিল্লির এক এমপি কোয়াটারে কোয়েম্বাটুর নিবাসী শিবরমন নামক ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন। শিবরামন সাংসদ ও মন্ত্রীদের সাথে তার পরিচিতি দাবি করেছেন এবং আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে বেকারদের রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পরে সুব্বাসামী চাকরির সন্ধানে তিনজনের সাথে দিল্লিতে আসেন এবং পরে আরও 25 জন চাকরি পেতে তাদের সাথে আসেন। EOW তার প্রাথমিক তদন্তে দেখেছে যে এটি একটি চাকরি কেলেঙ্কারী ছিল এবং আরও তদন্ত চলছে।

এই ধরনের চাকরি জালিয়াতির বিরুদ্ধে সতর্কতা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, মিডিয়া এবং যোগাযোগ, রেল মন্ত্রক, যোগেশ বাওয়েজা বলেছেন যে রেলওয়ে বোর্ড নিয়মিতভাবে পরামর্শ জারি করছে এবং এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করছে। তাই এটা যে পুরোটাই তাদের ধোকা দেওয়া হয়েছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই যেকোনো জায়গায় টাকা দেওয়ার আগে অনেক বুঝে তবেই দিন নয়তো দেবেন না। কিন্তু ভুল ভাল জায়গায় টাকা দিলে এভাবেই খোয়াতে হবে বলে সতর্ক করছে রেলের তরফ থেকে।