সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কৌশিকী অমাবস্যায় করুন মা তারার আ’রা’ধ’না, জীবনে বি’রা’জ করবে সুখ ও শা’ন্তি

আগামী মঙ্গলবার কৌশিকি আমাবস্যা। এই বিশেষ দিনে কালী মায়ের আরাধনা করলে পারিবারিক সুখ শান্তি লাভ করবেন ভক্তরা। যদিও করোনার কারণে গত বছরের মতো চলতি বছরেও তারাপীঠের মন্দির বন্ধ থাকছে। আগামী ছয় দিন তারাপীঠের মন্দির থাকছে বন্ধ। কাজেই তার আগে তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে মা দুর্গার এখ অনন্য রূপ কৌশিকী রূপের আরাধনা করা হয়ে থাকে।

বৌদ্ধ এবং হিন্দু তন্ত্র মতে এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথিকে বলা হয় তারারাত্রি। এই তিথিতে কঠিন উপাসনা করলে আশাতীত ফল মেলে। দেবী কৌশিকীর উত্থান নিয়ে পুরাণে এক অপূর্ব গল্প রয়েছে। পুরাকালে শুম্ভ-নিশুম্ভ নামের দুই অসুর ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করে এইবার লাভ করে যে মাতৃ গর্ভে জন্ম হয়নি এমন এক নারীর হাতেই তারা বধ হবে। অন্য কেউ তাদের বধ করতে পারবে না। দেবতারা যখন দুই অসুরকে বধে অপারগ হয়ে ওঠেন তখন তারা আদিদেবের শরণাপন্ন হন।

এদিকে দেবী পার্বতী সতীরূপে দক্ষযজ্ঞ আত্মাহুতি দিলে তার গায়ের রং হয়ে উঠেছিল কালো। তাই মহাদেব তাকে কালিকা বলে ডাকতেন। অসুর বধে অপারগ দেবতারা যখন মহাদেবের শরনাপন্ন হন তখন মহাদেব সকলের সামনেই দেবী পার্বতীকে বলেন ‘কালিকা, তুমি ওদের উদ্ধার করো’। সকলের সামনে কালী নামে সম্বোধন করায় দেবী মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন। এরপর তিনি মানস সরোবরে এক কঠিন তপস্যা শুরু করেন এবং তপস্যার শেষে সিদ্ধিলাভ করে নিজের দেহের কালো রং পরিত্যাগ করে পূর্ণিমার চাঁদের মতো গাত্রবর্ণ ধারণ করেন।

এদিকে দেবীর পরিত্যক্ত কালো কোশিকা থেকে তখন কৃষ্ণবর্ণ এবং অপূর্ব সুন্দরী দেবীর জন্ম হয়। তিনিই দেবী কৌশিকী, যিনি শুম্ভ এবং নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন। শোনা যায় এই অমাবস্যা তিথিতেই তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।