শীত গ্রীষ্ম হোক কিংবা শরৎ বর্ষা এসে মাটি করে দিত সব ঋতুর আনন্দ। কিন্তু এবারের শীতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মাঝেমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল শীতেও নিম্নচাপের প্রভাবে ভাসতে পারে বঙ্গ। শীতকালে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারত ছাড়াও পূর্বভারতেও বৃষ্টির আমেজ চোখে পড়ে।
শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিস্থিতি টের পাওয়া যায় ঠিক সেই কারণেই মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। অথচ এবারে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি চলে গেল এখনো পর্যন্ত বৃষ্টি দেখা পাওয়া যায়নি। বিগত শীতকালের পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে কখনো তিনবার কখনো পাঁচবার বৃষ্টি এসে ধরা দিয়ে গিয়েছে বঙ্গে।
এবার গোটা শীত কেটে গেল শুষ্ক আবহাওয়ায়। আইএমডি রিপোর্ট বলছে এমন শীতকাল অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি। অনেক সময় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এবার তা হয়নি। মেঘ কুয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বারবার কিন্তু আকাশ থেকে জল ঝরেনি।
আরো খবর: অমৃত ভারত স্টেশনের তা’লি’কা’য় বাংলার ৯৪ টি রেলস্টেশন, আপনার কাছের স্টেশন কি র’য়ে’ছে?
মকর সংক্রান্তির সময় প্রতিবছরই বাংলায় বৃষ্টি হয় কিন্তু এবারে মকর সংক্রান্তি কেটে গিয়েছে বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায়। এমনকি গত ৩১ বছরে সবচেয়ে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি রেকর্ড করা হয়েছে এবার। বিহার ওড়িশা ঝাড়খণ্ডের আকাশে মেঘ তৈরি হয়, সেই মেঘের প্রভাবে বাংলাতেও বৃষ্টির আচ পড়ে।
তবে এবার সেই বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একে ইংরেজির সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মধ্য ভারতের তৈরি হয়েছিল বৃষ্টির একটি সিস্টেম তবে সেই পরিস্থিতি ছিল না স্বাভাবিক।
তার ফলে এবারে শীতকাল বৃষ্টিহীন অবস্থায় কেটে গিয়েছে। বাতাসের উপরের স্তরে দূষণের উপাদান জমতে থাকে আর বৃষ্টির জলের সঙ্গে তা ধুয়ে যায় কিন্তু এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।