সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কবে বিপত্তারিণী পুজো? এদিন এই ভুল গু’লো করবেন না, পি’ছু ধাওয়া করবে বি’প’দ!

হিন্দু ধর্মের পূজিত দেবদেবীদের মধ্যে অন্যতম হলেন মা বিপত্তারিণী। শাস্ত্র মতে, দুর্গার ১০৮টি অবতারের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবী সঙ্কটনাশিনী। তাঁর একটি রূপ হলেন মা বিপত্তারিণী।

হিন্দু শাস্ত্রে এই দেবীর পুজোর অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস মা বিপত্তারিণী সমস্ত রকমের বাধা, বিপত্তি ও বিপদ থেকে সন্তান এবং পরিবারকে রক্ষা করেন।

তাই এই পুজো করা হয়। ১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই পুজোয়। এদিন ১৩ গিঁট বিশিষ্ট লাল সুতো স্বামী ও সন্তানের কল্যাণার্থে তাদের হাতে বেঁধে দেন মহিলারা। এই ১৩ গিঁট বিশিষ্ট লাল সুতোকে বলা হয় বরাদ বা রাক্ষ সুতো।

এই সুতোয় বাঁধা থাকে ১৩টি দূর্বা। বিপত্তারিণী পুজোর প্রস্তুতিতে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। পুজোর আগের দিন নিরামিষ খেতে হয়। নিয়ম মতো পুজোর দিন মা বিপত্তারিণীকে ১৩ রকমের ফুল, ফল, মিষ্টি, পান, সুপুরি, নারকেল অর্পণ করা হয়।

আর পুজোর শেষে প্রসাদ হিসেবে ১৩টি লুচি ও ১৩ রকমের ফল খাওয়ারও নিয়ম রয়েছে। প্রতি বছর আষাঢ় মাসে রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে মঙ্গল ও শনিবার পড়ে, তাতেই এই ব্রত পালিত হয়।

আরো পড়ুন: আরো চলবে যু’দ্ধ! ইউক্রেনকে ১০০ কো’টি পাউন্ডের অ’স্ত্র দে’বে যুক্তরাজ্য

চলতি বছরে রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে ২ জুলাই (১৭ আষাঢ়) শনিবার ও ৫ জুলাই (২০ আষাঢ়) মঙ্গলবার বিপত্তারিণী পুজোর দিন রয়েছে। বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। যে কেউ এই দেবীর পুজো করতে পারেন।

তবে তার জন্য রয়েছে বিশেষ নিয়ম। ভুল নিয়মে বিপত্তারিণী পুজো করলে দেবী রুষ্ট হন এবং জীবনে চরম বিপদ ঘনিয়ে আসে।চরম আর্থিক সমস্যার মুখোমুখিও হতে পারেন। বিপত্তারিণী পুজোর অনেক গুণ রয়েছে।

মায়ের আশীর্বাদে সমস্ত বিপদ সরে যায় দূরে এবং অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আর এর ফলে পরিবারে সদা বিরাজ করে সুখ-শান্তি। বিবাহের ক্ষেত্রে বিলম্ব দেখা দিলে এই পুজো করলে সব বাধা কেটে যেতে পারে।

সাবধানে ও সমস্ত নিয়ম মেনে এই পুজো করা উচিত। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের বলব এমন কিছু কাজের কথা যেগুলো ভুল করেও বিপত্তারিণী পুজোর দিন করবেন না।

১. বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন ও পুজোর দিন আমিষ খেতে নেই।

২. পুজোর দিন চাল ও গম দিয়ে তৈরি কোনো খাদ্য বস্তু খাওয়া উচিত নয়।

৩. পুজো চলাকালীন সময়ে পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বলবেন না, অন্যথায় দেবী অসন্তুষ্ট হন।

আরো পড়ুন: অঙ্কিতার স্কুলেই চাকরি পেলেন ববিতা, নি’য়ো’গপ’ত্র পেলেন বাংলার লড়াকু কন্যা

৪. বিপত্তারিণী পুজোর দিনে কাউকে অপমান করলে বা ভুল করে হলেও কোনো মহিলা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করলে বিপত্তারিণী দেবী রুষ্ট হন।

৫. জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, কোনো অন্ধকার, অপরিচ্ছন, অস্বস্তিকর পরিবেশে বিপত্তারিণী পুজো করা উচিত নয়। এতে সংসারের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হয়।

৬. জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে, যেহেতু চিনির সঙ্গে শুক্র ও চন্দ্রের সম্পর্ক রয়েছে তাই এদিন কাউকে চিনি দিতে নেই। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয়। এর ফলস্বরূপ পারিবারিক অশান্তি তৈরী হয়। সেই সাথে পরিবারের সকলে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন।