সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বছরের শে’ষ অমাবস্যা কবে? এদিন পিতৃপক্ষের থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার সু’যো’গ থা’কে!

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২৩ শে ডিসেম্বর পালিত হবে বছরের শেষ অমাবস্যা। আর এই বিশেষ দিনে পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য স্নান দান এবং দর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। ঠিক যেমন পালিত হয মহালয়ার দিন। কথিত আছে এই দিনেই পিতৃ দোষ এবং কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এই দিনেই বিভিন্ন প্রতিকার ও শুভ কাজ করে থাকেন মানুষ। পৌষ মাসের অমাবস্যাকে ছোট পিতৃপক্ষ বলে গণ্য করা হয়। এই অমাবস্যা মূলত পূর্বপুরুষদের জন্যই পালন করা হয়।। পৌষ মাসির অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপুরুষদের সন্তুষ্ট করবার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়।

যাতে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায় মূলত পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি শান্তি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্যই এদিন বিভিন্ন পূজা-অর্চনা করা হয়। যাতে সর্বদা মানসিক শারীরিক ও আর্থিকভাবে সুখী থাকে উত্তর পুরুষরা। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৌষ অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে ২২ শে ডিসেম্বর বিকেল ৭ঃ১৩ থেকে। কেটে যাবে পরদিন বেলা ৩;০৬ মিনিটে।স্নান দান করার শুভ সময় ৫টা ২৪ মিনিট থেকে ৬ টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত।

আর অভিজিৎ মুহূর্ত মুহূর্ত শুরু হবে দুপুর ১২:১০ মিনিট থেকে ১২ টা ৪৭ পর্যন্ত। পৌষ অমাবস্যার দিনে বিশেষত ব্রহ্ম মুহূর্তে পুজো করাই শুভ। এই দিন কোন বহমান নদীতে স্নান করা উচিত। তবে নদীর জল না পেলে গঙ্গাজল মিশ্রিত জলে স্নান করুন।পরিষ্কার বস্ত্র পরে একটি তামার পাত্রে সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে।। এরপর মনে মনে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনা করতে হবে।

আরো খবর: রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্র’স’ঙ্গ তু’লে ধরতেই পাকিস্তানকে ধু’য়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

সারাটা দিন উপর থেকে বিকেলে অশ্বথ গাছে জল নিবেদনের পর, গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। সেই প্রদীপের আলো সারা ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই দিনে গরীব দুঃখী এবং অসহায় মানুষদের দান করা বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। এর মাধ্যমে পিতৃ দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।এদিন গরু সেবা করলেও খুব ভালো ফল পাওয়া যায় বলেই জানানো হয়েছে জ্যোতিষে।