সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ধনতেরাসে কি পুজো করবেন? শুভ মু’হূ’র্ত জেনে নিন

সামনেই আগত ধনতেরাস যে রীতি আগে শুধুমাত্র উত্তর ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু আজ তা বাংলার ঘরে ঘরে এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। সকলেই এই দিনে সোনার রূপোর গয়না কিনতে ভিড় জমান দোকানে। তবে শুধুমাত্র সোনার রূপো বা ধাতব জিনিস কেনা নয় এই দিনে বেশ কিছু রীতিও রয়েছে যা মেনে এই কার্তিক মাসের ত্রয়দশী তিথিতে ধনতেরাস পালিত হয়।

ধনতেরাসে লক্ষী দেবীর আরাধনা করা হয় কিন্তূ কেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। দেবী লক্ষ্মী উদ্ভূত হয়েছিলেন সমুদ্রের ক্ষীরসাগর থেকে। সেই সময় ছিল অমাবস্যা তিথি, তাই লক্ষ্মী দেবীকে স্বর্গে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুষ্ঠানে স্বর্গকে সাজানো হয়েছিল আলোরমালায়। এই লক্ষ্মীর আরাধনা করারও বেশ কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে।

প্রথম একটি কলস স্থাপন করতে হয় সেটি সোনা রুপা বা তামা বা পোড়া মাটির হতে পারে। একটি ধানের শীষ একটি মুদ্রা ও একটি ফুল সাথে কলসের তিন চতুর্থাংশ জলের সঙ্গে গঙ্গা জলে ভর্তি করা হয়। এরপর ধাতব থালার মধ্যে ধানের শীষ ও পাঁচটি আমের পাতা রেখে ধানের শীষের ওপরে হলুদ গুঁড়ো ও একটি মুদ্রা দিয়ে লক্ষীর মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং এই কলসের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয়।

আরো পড়ুন: এবার কেষ্টর কালীপুজোর আয়োজনে ভা’টা, ভ’রি ভ’রি সোনার গহনা ন’য় পুজো হবে চাঁদা তু’লে

প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয় এবং তার সাথে হলদি কুমকুম ফুল দিয়ে মনোযোগ সহকারে দেবীর আরাধনা করতে হয়। এ বছর ২৩ শে অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার ধনতেরাস পালিত হবে। বিকেল ০৪:৪৮ থেকে ০৬:০৩ পর্যন্ত অর্থাৎ ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট। তবে একই সাথে এই দিনে পালিত হয় আর এক মহান ব্যক্তিত্বের জন্মবার্ষিকী ও সেটি হল আয়ুর্বেদিক ঈশ্বর ধন্বন্তরির।

এছাড়াও এই একই দিনে পালন করা হয় যমদীপ নামের একটি অনুষ্ঠানও যাতে পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় এবং অকাল মৃত্যু থেকে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করার প্রার্থনা জানানো হয়। তবে এই ধনতেরাসের দিনে ভগবান কুবেরকে পুজো করারও আর এক রীতি রয়েছে ধুপ দীপ ফল ও মিষ্টি সহযোগে কুবেরের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য মানুষ বেছে নেন এই দিনটিকেই।