সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্যারামেডিক্যাল কোন ধরণের পে’শা? কারা এই পে’শা’য় আ’স’তে পারবেন? জানুন বিস্তারিত

চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন একটি পেশা যেখানে প্রবেশ করলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কাজে লাগে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তার হোক কিংবা নার্স তারা সবসময় চেষ্টা করে সাধারণ মানুষের রোগ সুস্থ করে তুলতে। নার্স কিম্বা চিকিৎসক যে শুধু এই কাজ করে থাকেন তা কিন্তু নয়, এমন অনেক মানুষ থাকেন যাদের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে আপনার যদি কোন রোগ হয় তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসকরা আগে কিছু পরীক্ষা দেন এবং সে পরীক্ষাগুলো করেন প্যারামেডিকেল স্টাফ।

যারা এই প্যারা মেডিকেল স্টাফ, তাদের কাজ কিন্তু চিকিৎসক এবং নার্সদের থেকে কম নয়। এই প্রতিবেদনে আমরা প্যারামেডিক্স সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো। বিশেষ করে যারা অন্যদের জন্য কাজ করতে চান যা তাদের পক্ষে এই কাজটি অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্যারামেডিক্স অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।

করোনা মোকাবেলার সময় প্রথম সারিতেই ছিলেন এই প্যারামেডিকেলের স্টাফরা। তবে বর্তমানে শিক্ষাগত পরিকাঠামোর অভাবের জন্য প্রশিক্ষিত নার্স চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক্স এর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার ফলে আগামী কয়েকটা বছর চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশ চাকরির সুযোগ থাকবে।

এই পেশাতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয় খুব অল্পসময়ের এবং এই পেশাতে আসার জন্য করতে হয় প্যারামেডিকেল কোর্স। এই কোর্সটি করার জন্য শিক্ষার্থীদের হতে হবে দ্বাদশ শ্রেণী পাস। এই পেশার ক্ষেত্রে পড়াশুনা শেষ হতে না হতেই চাকরির সুযোগ থাকে। বলা যায় যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঘাটতি কখনোই আসবে না, তেমনি এই পেশার ক্ষেত্রে বরাবর চাহিদা থাকবে। এবার আসুন জেনেনি প্যারামেডিক্স পড়লে কি কি পদে চাকরি হওয়ার সুযোগ থাকে।

মেডিকেল ল্যাব টেকনিশিয়ান,

হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হেলথকেয়ার প্রফেশনাল,

অপারেশন থিয়েটার টেকনিশিয়ান,

এক্সরে টেকনিশিয়ান,

ডায়ালাইসিস টেকনিশিয়ান,

ইমার্জেন্সি মেডিকেল টেকনিশিয়ান।

এছাড়া আরো কিছু ধরনের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এবং কথোপকথনের ক্ষেত্রে বেশ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। তাই এই ধরনের কাজ ছাড়াও আরো যে সমস্ত কাজের সুযোগ রয়েছে সেগুলি হল,

মেডিকেল প্রশিক্ষণ,

বিক্রয় প্রতিনিধি,

মেডিকেল কনটেন্ট রাইটার,

সহকারি গবেষক,

বিশেষ করে এই পেশাতে যদি একবার কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করে তবে তার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে পদোন্নতি ঘটতেই থাকবে। এই পেশাতে প্রবেশ করে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে ফেলার ফলে স্পেশালাইজেশন করার সুযোগ থাকবে। যেমন, একজন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের উন্নত করে মেডিকেল ল্যাব টেকনিশিয়ান অথবা সুপারভাইজার অথবা ম্যানেজার এবং ল্যাব ডিরেক্টর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।