সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিঁদুর খেলার তাৎপর্য কি? কেন দশমীর আ’গে ব্যবহার করা হয় “বিজয়া” শ’ব্দ?

আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার দিন। চার-চারটে দিন উৎসবের আমেজ উপভোগ করার পর আজ স্বভাবতই আপামর বাঙালির মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আজ দেবী দুর্গাকে মিষ্টিমুখ করিয়ে সিঁদুর খেলা বাংলার বধুরা দেবীকে বিদায় জানাবেন। অবিবাহিত এবং বিধবারাও বর্তমানে সিঁদুর খেলে থাকেন।

তবে দশমীকে বিজয়া দশমী এবং এই দিনে সিঁদুর খেলা নিয়ে বহু প্রশ্ন ঘোরে সাধারণের মনে। হিন্দু বিবাহ রীতি অনুযায়ী সিঁদুর দান একটি লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে সিঁদুর পরেন বিবাহিত মহিলারা। সিঁদুরকে আসলে ব্রহ্মের প্রতীক হিসেবে মানা হয়। মনে করা হয় ব্রহ্মা সমস্ত দুঃখ কষ্টের অবসান ঘটিয়ে সুখ প্রদান করেন।

তাই দশমীর দিন সিঁদুর দান এবং সিঁদুর খেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করে থাকেন সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা। এছাড়াও শ্রীমৎভাগবতে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার বিবরণ উল্লেখ করা আছে। কৃষ্ণের মঙ্গল কামনার জন্য সিঁদুর খেলতেন গোপিনীরা।

পুরাণে বর্ণিত কাহিনী অনুসারে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। টানা নয় দিন নয় রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে দশোভূজা দেবী দুর্গার যুদ্ধ হয়েছিল। এরপর দশমীতে অধর্ম এবং অসত্যের উপর সত্যের জয় হয় যখন দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই জয় চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে দশমীর আগে বিজয়া শব্দের উল্লেখ করা হয়।