Home অফবিট আম্বানিদের পরিচারকদের বেতন ক’তো? সন্তানরা সব পড়াশোনা করে বিদেশি স্কুলে!

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আম্বানিদের পরিচারকদের বেতন ক’তো? সন্তানরা সব পড়াশোনা করে বিদেশি স্কুলে!

একটা সাধারণ বাড়িতে একটা বাড়ির কাজের লোকের কত মাইনে হয়? ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। সেটাই চাপ হয়ে যায় একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য। কিন্তু প্রসঙ্গ যদি হয় আম্বানি পরিবারের তাহলে সেই রাঁধুনির মাইনে হতে পারে লাখ টাকাও। ভারতীয় তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর রাঁধুনীদের অন্য সাধারণ বাড়ির তুলনায় মাইনে অনেক বেশি।

সেরকমই তাদের রান্নার দিক থেকেও হতে হয়েছে অনেক বেশি পারদর্শী। সম্প্রতি উদ্বোধন হয়েছে ‘নীতা মুকেশ অম্বানী কালচারাল সেন্টার’-এর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসেছিল। হলি এবং বলি পাড়াকে এক ছাতার তলায় এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আম্বানি পরিবার।

তারকাখচিত সেই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন সলমান খান, শাহরুখ খান, সইফ আলি খান, শাহিদ কপূর, রণবীর সিংহ, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্টের মতো বহু বলিতারকা। আর হবে নাই বা কেনো বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি তাদের পার্টি গ্র্যান্ড হবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

তাদের জীবন যাপন এতটাই বিলাস বহুল যে লোকের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যম ‘ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এই আম্বানি পরিবারের রাঁধুনীদের সন্বন্ধে। প্রতি মাসে বেতন বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে পান মুকেশ-নীতার রাঁধুনিরা। অম্বানীরা নিরামিষাশী।

আরো খবর: সুদের হা’র বাড়লেও কেন ই’চ্ছে করে হোম লোন নিচ্ছেন আম জনতা?

মুকেশ তাঁর খাবার সম্পর্কে বিশেষ সচেতন। পছন্দ করেন তাইল্যান্ডের খাবার খেতেও। সব ধরণের রান্নায় পারদর্শী হতে হয়েছে আম্বানিদের রাঁধুনিদের। এই যেমন প্রতি রবিবার মুকেশের পাতে দক্ষিণ ভারতীয় পদ চাই-ই চাই বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে সেই সব ঝট পট বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পরিবারের শেফরা।

মাস গেলে পান প্রায় ২ লক্ষ টাকা যা একটা উচ্চ পদস্থ বেসরকারি কর্মচারীর থেকেও বেশি। তবে রাঁধুনিরাও কম যান না, অম্বানীদের রাঁধুনিরা সবসময় ধোপদুরস্ত পোশাক পরে রান্না করেন। কেতা লক্ষ করা যায় তাঁদের চলন-বলনেও। অম্বানী পরিবারের রাঁধুনিরা একাধিক ভাষায় সাবলীল।

রয়েছে নামীদামি বিদেশি সংস্থায় পড়াশোনা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ে অম্বানীদের বিলাসবহুল বাড়ি অ্যান্টিলিয়ায় রাঁধুনিদের থাকার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। গাড়ি রয়েছে তাদের চলাফেরার জন্য। কেউ চাইলে বাড়িও ফিরে যেতে পারেন। তবে প্রধান রাঁধুনিকে নাকি থাকতে হয় অ্যান্টিলায়াতেই।

তবে শুধু বেতনই নয় পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা পান অম্বানী পরিবারের কর্মীরা। এই কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বিমার সুবিধা। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও জোগানো হয় অম্বানীদের মালিকানাধীন রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফেই। এমনকি, অম্বানী পরিবারের কর্মচারীদের সন্তানরা যাতে আমেরিকার স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হয় রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফ মারফত।